ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জনপ্রতিনিধিদের জনকল্যাণে কাজ করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:২৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

জনপ্রতিনিধিদের জনকল্যাণে কাজ করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুফল জনগণের ঘরে পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘আদর্শ ও নীতি মেনে’ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, জনকল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে হবে, দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ- প্রত্যেকটা স্তর সুবিন্যস্ত করেছি। যেন উন্নয়নের গতিটা যেন গ্রাম পর্যায় পৌঁছায়, সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, একেবারে তৃণমূল মানুষের কাছে যেন উন্নয়নের ছোঁয়া যায় অর্থাৎ স্বাধীনতার সুফল যেন গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা যেন পায় সেই লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে স্থানীয় সরকারগুলোকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের জনকল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও নীতি মেনে চলতে হবে। আজ নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জনে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই। জাতির পিতার আকাক্সক্ষা পূরণ করতে চাই। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সরকারী কাজে যারা নিয়োজিত প্রত্যেকেই সেভাবে কাজ করবেন, যেন আমাদের দেশটা উন্নয়নের যেই গতিপথ আমরা সৃষ্টি করেছি সেটা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, যেকোন কিছু অর্জনের পেছনে একটা শক্তির প্রয়োজন, সংগঠনের প্রয়োজন হয় এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা আওয়ামী লীগ সংগঠনটাকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন এবং সেই সংগঠন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করলে তারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন ও সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ব্যাপকভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যে জনসমাগমের কর্মসূচীগুলো আয়োজন করা হয়নি, সে কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারাবিশ্বে মহামারী দেখা দিলেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের রক্ষ্য জাতির পিতা যেই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমি জানি, করোনাভাইরাস যদি না হত, আমরা এতদিনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা স্বল্পোন্নত দেশ হবে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে এবং ২১০০ সালের বাংলাদেশ কিভাবে উন্নত হবে সেই পরিকল্পনাও আমরা দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা হলো পরবর্তী সময়ে যারাই আসুক ক্ষমতায় বা প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে- তাদের জীবনমান যেন উন্নত হয়। আর বাংলাদেশ যেন ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত হয়। ভিডিও কনফারেন্সে ফেনী জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার তপন মজুমদারকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সচিবালয় প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×