স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবরের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ মিসবাউর রহমান আলম আকবরের মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি গত ২৪ ডিসেম্বর আকবরের পক্ষে দায়েরকৃত ওকালতনামা সারেন্ডার করেন এবং এ সংক্রান্ত একটি আবেদনও আদালতে দাখিল করেছেন।
আইনজীবী মোঃ মিসবাউর রহমান আলম বলেন, আইনী পেশায় থেকে অনেক হত্যা-অপহরণসহ অনেক মামলা পরিচালনা করেছি। আমার কাছে রায়হান হত্যা মামলাও তেমনি একটি মামলা ছিল। অধিক অর্থ প্রাপ্তি নয় বরং আকবরের পক্ষে তার মামলা পরিচালনার জন্য যোগাযোগ করা হলে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই মামলাটি গ্রহণ করি। হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের মামলাটি আমার কাছে একেবারেই নতুন ধরনের ও চ্যালেঞ্জের ছিল। তাই কোন কিছু না ভেবে মামলাটি গ্রহণ করি এবং আকবরের পক্ষে আদালতে ওকালতনামাও দাখিল করি। তিনি বলেন, আইনী সেবা পাওয়া প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তাকে দণ্ডিত করা যায় না। তদুপরি এই মামলাটি সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশের মামলা। এরূপ মামলায় আসামি আইনজীবী নিয়োগে অক্ষম হলে রাষ্ট্র তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিতে বাধ্য। কোন কারণে যদি আসামিপক্ষ আইনজীবী পেতে ব্যর্থ হয়, তবে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই আটকে যাবে। বিচার প্রার্থীই তাতে বরং ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে আকবরের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত হতে আমি সম্মত হই। কিন্তু অনেকেই আমার শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়রকে জড়িয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আকবরের পক্ষে আইনী লড়াই হতে বিরত হলাম। এছাড়া গত ২৪ ডিসেম্বর আকবরের পক্ষে দায়েরকৃত ওকালতনামা সারেন্ডার করেছি এবং এ সংক্রান্ত একটি আবেদনও বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি। আকবর কোন আইনজীবী না পেলে এই মামলার বিচার হবে না, সেটা যেমন রায়হানের পরিবারের জন্য সুখকর হবে না, তেমনি তা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠারও অন্তরায় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রায়হান হত্যাকাণ্ডের পর দায়েরকৃত মামলাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে আসামি পক্ষের হয়ে সিলেটের আইনজীবীরা লড়াই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষের হয়ে মামলাটি পরিচালনা করতে আইনজীবী মোঃ মিসবাউর রহমান আলম ওকালতনামা দাখিল করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: