
স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে সুমি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী স্বামী সোহেল গা ঢাকা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকের ২৯/বি রোডের ২৫ নম্বর বাসার বেডরুম থেকে সুমির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান। পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুকুজ্জামান জানান, ভবনটির চারতলার ছোট্ট একটি কক্ষে তারা ভাড়া থাকতেন। একই কক্ষে সুমির বড় বোন ও তার স্বামীও থাকতেন। তারা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সুমির বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরদীতে। এসআই ফারুকুজ্জামান জানান, সোমবার রাতে সুমির বড় ও তার স্বামী রাতে ডিউটি থাকায় বাসায় ছিলেন না। এ সময় সোহেল ও সুমি বাসায় ছিলেন। তাদের আট মাস বয়সী একটা সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশীরা বরাত দিয়ে এসআই ফারুকুজ্জামান জানান, সুমি ও তার স্বামী সোহেল রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে দরজা খোলা দেখা যায়। সুমির নিথর দেহ খাটের ওপর পড়ে ছিল। তার আট মাস বয়সী মেয়ে এ সময় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার চেষ্টা করছিল। সুমির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশের কক্ষের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। তিনি জানান, পরে পুলিশ গিয়ে বেডরুম থেকে সুমির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমির মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। শরীরের আর কোথাও দাগ নেই। ঘটনার পর থেতে তার স্বামী সোহেলকে খুঁেজ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সন্দেহের মাত্রা বাড়ছে। এসআই ফারুকুজ্জামান জানান, তাদের পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছিল। তবে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। দুটি পরিবারই গরিব। নিহতের স্বামীকে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। সুমির মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। এজন্য ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।