
সংগৃহীত
যেখানে শিশুর আর্তচিৎকার এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়, যেখানে পোড়া বই আর ব্যাগ গলে মাটিতে মিশে গেছে—সেই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই জাতিকে একটি আশার কথা শোনালেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে তিনি দেশের চার প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেন—জনগণের ভাঙা মন জোড়া দেওয়ার এক প্রচেষ্টায়।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন। আলোচনা হয় দীর্ঘ সময় ধরে—নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, পরিবারগুলোর না বলা কান্না, সব কিছু নিয়েই।
প্রধান উপদেষ্টার কণ্ঠে বিষাদ আর দায়বোধ:“এই দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। আমরা শুধু দুঃখ প্রকাশ করে থেমে থাকবো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বিমান উড়বে না—এই নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা নিতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রাজনীতি নয়—প্রয়োজন মানবতা, সংবেদনশীলতা, ও সম্মিলিত দায়িত্ববোধ।
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও বলেন,“এই শিশুদের আমরা রক্ষা করতে পারিনি, এখন অন্তত তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াই। দোষীদের বিচার চাই, কিন্তু আরও চাই, এই ধরনের দুর্ঘটনা যেন কখনো না ঘটে।”
এ সময় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বৈঠক শেষে সকলেই এক কণ্ঠে বলেন,"আজ রাজনীতি নয়, আজ আমরা শোকের পাশে আছি—একটি জাতি হয়ে।"
হ্যাপী