
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি মোবাইলের সঙ্গে চার্জার দিচ্ছে না। ফলে নিজে আলাদা করে চার্জার কিনতে গিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কোন চার্জার আপনার ফোন বা ল্যাপটপের জন্য উপযুক্ত, সেটাই জানুন সহজ ভাষায়।
১. চার্জারের পাওয়ার রেটিং (ওয়াট) দেখুন:
আপনার ফোন বা ল্যাপটপ কত ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট করে, তা ডিভাইসের স্পেসিফিকেশনে লেখা থাকে।
-
সাধারণ ফোন: ১৮–৮০ ওয়াট
-
ওয়ানপ্লাসের মতো ফোন: ১০০ ওয়াটের বেশি
-
ল্যাপটপ: সর্বোচ্চ ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।
২. কোন চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা জানুন:
-
সবার জন্য উপযোগী (সাধারণ): ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি (USB PD) ও কোয়ালকম কুইক চার্জ – বেশিরভাগ ফোনে চলে।
-
কোম্পানি বিশেষ প্রযুক্তি: ওয়ানপ্লাস ওয়ার্প, ওপ্পো সুপারভুক, শাওমি হাইপারচার্জ – এগুলোতে সেই কোম্পানির চার্জারই লাগবে।
-
পুরনো প্রযুক্তি: কুইক চার্জ ৩, স্যামসাং অ্যাডাপটিভ ফাস্ট চার্জিং এখনো চালু আছে কিছু ডিভাইসে।
৩. চার্জারটি আপনার ডিভাইসের সঙ্গে মিলছে কিনা নিশ্চিত করুন:
আপনার চার্জার যেন আপনার ফোন বা ল্যাপটপের চার্জিং প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় পাওয়ার রেটিং দুটোই সাপোর্ট করে।
একাধিক পোর্টযুক্ত চার্জার হলে প্রত্যেক পোর্টের ক্ষমতা দেখে নিন।
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
-
আইফোন ১৫ ও ১৬: ইউএসবি-সি তার ও চার্জার লাগে, অ্যান্ড্রয়েডের মতো।
-
আইফোন ১২–১৪ ও পুরনো মডেল: লাইটনিং তার ও চার্জার দরকার।
-
আইফোনে কিউআই (Qi) ও ম্যাগসেইফ (MagSafe) ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা রয়েছে।
চার্জিং গতি কেমন তা কীভাবে বুঝবেন
অ্যাপ ব্যবহার করে আন্দাজ করতে পারেন – যেমন অ্যাকুব্যাটারি বা ইনওয়্যার। তবে সবচেয়ে নির্ভুল পদ্ধতি হলো একটি ইউএসবি-সি পাওয়ার মিটার ব্যবহার করা, যা সরাসরি ভোল্টেজ ও কারেন্ট মাপে।
বিশ্বস্ত চার্জার যেগুলো আপনি কিনতে পারেন
-
স্যামসাং ৪৫ ওয়াট সুপার ফাস্ট চার্জিং অ্যাডাপ্টার – অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য উপযোগী, USB PD PPS সমর্থন করে।
-
অ্যাঙ্কার ৭৩৫ (৬৫ ওয়াট) – একসঙ্গে ফোন, ট্যাবলেট এবং কিছু ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জন্য আদর্শ।
-
গুগল ৩০ ওয়াট ইউএসবি-সি অ্যাডাপ্টার – পিক্সেল ও মিড-রেঞ্জ ফোনের জন্য ভালো ও সাশ্রয়ী বিকল্প।
আবির