
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআই লেখনী সরঞ্জাম ব্যবহার করে সহজে নকল করার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তাই শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজন এআই-চালিত লেখাকে সঠিকভাবে শনাক্ত করার উপায় জানা।
চ্যাটজিপিটি-র লেখা চিনে নেওয়ার কিছু মূল লক্ষণ
-
প্রম্পটের মূল শব্দগুলি বারবার ব্যবহার করা হয়
শিক্ষার্থীরা সাধারণত মূল শব্দ বা প্রশ্নটিকে এতবার রিপিট করেন না, কিন্তু এআই প্রায়ই করে। -
অসত্য বা ভুল তথ্য থাকতে পারে
কারণ চ্যাটজিপিটি মাঝে মাঝে তথ্য “হ্যালুসিনেট” করে অর্থাৎ ভুল তথ্য দেয়। -
লেখার স্বাভাবিকতা কম
বাক্যগুলো প্রাকৃতিক শৈলীর চেয়ে বেশি যান্ত্রিক বা রুটিনের মতো শোনায়। -
ব্যাখ্যাগুলো সাধারণ এবং বারবার একই রকম
যা প্রকৃত বোঝাপড়ার বদলে কেবল পুনরাবৃত্তি। -
টোন বা লেখার স্বর শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক স্টাইলের থেকে আলাদা
শিক্ষকদের জন্য চ্যাটজিপিটি দিয়ে তৈরি লেখা শনাক্ত করার টিপস
-
এআই টুলগুলো সম্পর্কে জানুন
যেমন GPTZero, Smodin ইত্যাদি যারা এআই-চালিত লেখার স্বরূপ শনাক্ত করতে পারে।
-
নিজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করুন
শিক্ষার্থীদের কাজের নমুনা হিসেবে নিজেরাই প্রম্পট দিয়ে চ্যাটজিপিটি-র লেখা সংগ্রহ করুন। এর মাধ্যমে তাদের কাজের ধরন বুঝতে সুবিধা হবে।
-
প্রকৃত লেখার নমুনা নিন
সেমিস্টারের শুরুতে শিক্ষার্থীদের থেকে স্বতন্ত্র ও ব্যক্তিগত লেখা নিন, যা পরে সন্দেহভাজন লেখার সাথে তুলনা করতে পারবেন।
-
রিরাইট বা পুনরায় লেখা চেক করুন
সন্দেহ হলে চ্যাটজিপিটি দিয়ে সেই লেখাকে পুনরায় লিখিয়ে দেখুন। এআই-এর পুনঃলিখন প্রায়ই অদক্ষ ও রুটিনধর্মী হয়।
-
সাবধানতার সঙ্গে মূল্যায়ন করুন
যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করুন, যাতে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব হয়।
চ্যাটজিপিটি-র ব্যবহার বাড়লেও শিক্ষকরা সচেতন ও দক্ষ থাকলে এআই-নির্ভর প্রতারণা কমানো সম্ভব। শিক্ষার্থীদের সাথে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রেখে এআই ব্যবহারের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া জরুরি।
আবির