
ছবি: সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআই চ্যাটবট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে। তবে এগুলো সব ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়, বিশেষ করে যখন বিষয়টি গোপনীয়তা, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ বা জরুরি পরিস্থিতির। নিচে ১১টি এমন ক্ষেত্রের তালিকা দেওয়া হলো যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা ঠিক নয়:
১. শারীরিক অসুস্থতার জন্য
চ্যাটজিপিটি আপনার শারীরিক লক্ষণ বিশ্লেষণ করে ভুল বা অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা
চ্যাটজিপিটি মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে সীমিত সহায়তা দিতে পারে, কিন্তু তা কখনই মানব থেরাপিস্টের বিকল্প নয়। গুরুতর মানসিক সমস্যায় পেশাদার সাহায্য নেওয়া জরুরি।
৩. জরুরি নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত নেওয়া
গ্যাস লিক বা আগুনের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে চ্যাটজিপিটির ওপর নির্ভর করবেন না। এই সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
৪. ব্যক্তিগত আর্থিক ও কর পরামর্শ
ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও স্থানীয় কর আইন বুঝে চ্যাটজিপিটি সঠিক পরামর্শ দিতে পারে না। আর্থিক বিষয়ের জন্য পেশাদার পরামর্শ নিন।
৫. গোপনীয় বা নিয়ন্ত্রিত তথ্য পরিচালনা
ব্যক্তিগত তথ্য যেমন চুক্তি, স্বাস্থ্য রেকর্ড বা ট্যাক্স তথ্য চ্যাটজিপিটিতে দেবেন না, কারণ তথ্য সংরক্ষণের নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়।
৬. অবৈধ কাজ
অবৈধ কোনো কাজ বা কার্যক্রমের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
৭. শিক্ষাগত প্রতারণা
পরীক্ষায় বা শিক্ষাগত কাজে নকলের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে তা গুরুতর শাস্তির কারণ হতে পারে। এআই-কে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করুন, প্রতারক হিসেবে নয়।
৮. তাজা খবর বা তথ্য পর্যবেক্ষণ
চ্যাটজিপিটি নিজে নিজে লাইভ খবর আপডেট দিতে পারে না। দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য খবরের জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম ব্যবহার করুন।
৯. জুয়া বা বাজি
খেলাধুলার ফলাফল বা বাজি সম্পর্কে চ্যাটজিপিটির ওপর নির্ভর করা নিরাপদ নয় কারণ এটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না।
১০. আইনি দলিল তৈরি
আইনি দলিল বা উইল তৈরির জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। সঠিক আইনি সাহায্য নেয়া উচিত।
১১. শিল্পকলা তৈরি
কলা সৃষ্টিতে এআই ব্যবহার সম্পর্কে বিতর্ক আছে। আইডিয়া নেওয়ার জন্য ব্যবহার করুন, পুরোপুরি সৃষ্টিশীল কাজ এআই-র ওপর নির্ভর করবেন না।
চ্যাটজিপিটি জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক, কিন্তু এটি সবসময় নির্ভরযোগ্য নয়। বিশেষ করে যখন বিষয়টি স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আর্থিক এবং আইনি পরামর্শের। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই পেশাদার পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আবির