
ছবিঃ সংগৃহীত
‘পেহেলগাঁও হামলার বদলা!’— এই স্লোগানেই বুধবার ভোরে ভারত চালালো ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে মিসাইল হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের দাবি, তারা ৯টি টার্গেট ধ্বংস করেছে, যেগুলো ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটি, বিশেষ করে লস্কর-ই-তইবা (LeT) ও জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM)-এর। পাকিস্তান বলছে, এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশু ও নারীও আছেন।
ভারত যেসব জায়গায় হামলা চালায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুরিদকে (পাঞ্জাব): LeT-এর ঘাঁটি দাবি করে হামলা; একটি মসজিদ ও সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। বাহাওয়ালপুর: JeM-এর ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা, পাঁচজন নিহত। মুজাফফরাবাদ: LeT ও JeM-এর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে হামলা। কোটলি ও ভিম্বার: হিজবুল মুজাহিদিন ও LeT-এর ঘাঁটি লক্ষ্য। সিয়ালকোট ও শাকরগড়: ক্ষুদ্র আঘাত, তবে কৌশলগত স্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পেছনে রয়েছে পাকিস্তান-ভিত্তিক TRF (The Resistance Front), যাকে LeT-এর শাখা বলে মনে করে দিল্লি। এই ঘটনার পরই ভারত এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
এই হামলাকে পাকিস্তান বলছে ‘অপ্ররোচিত আগ্রাসন’। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানা-পড়েন বেড়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে ইন্দাস পানিচুক্তি, এবং সিমলা চুক্তি থেকেও সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের হামলা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
আরশি