
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েল মঙ্গলবার ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি সিমেন্ট কারখানা ও কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এতে সানা বিমানবন্দর সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে গেছে।
রবিবার হুথি যোদ্ধারা তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইসরায়েল এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
সানা বিমানবন্দর হুথিদের অস্ত্র পরিবহন ও যোদ্ধা স্থানান্তরের কেন্দ্র। সিমেন্ট কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘সামরিক স্থাপনা’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামলা চালানোর অনুমোদন এসেছে বিমানবাহিনী প্রধান ও চিফ অফ স্টাফের কাছ থেকে।
হুথি-ঘনিষ্ঠ আল মাসিরাহ টিভির তথ্যমতে, হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। হুথি রাজনৈতিক ব্যুরো বলেছে, ‘এটি ইয়েমেনকে অবরুদ্ধ করার ষড়যন্ত্র। গাজা ইস্যুতে সমর্থন থামানো হবে না।’
কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত বলেন, “সানা বিমানবন্দর কৌশলগত লক্ষ্য নয়। এটি আগে থেকেই জাতিসংঘ ও সৌদি জোটের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে। এই হামলাকে ‘নিরেট ধ্বংসযজ্ঞ’ ছাড়া কিছু বলা যায় না।”
সোমবার ইসরায়েল হোদেইদা বন্দরে হামলা চালায়, সেখানে একজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন। হুথিদের দাবি, ইসরায়েল হোদেইদায় ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা ১০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যা তারা বলছে গাজা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া।
ইসরায়েল ও হুথিদের মধ্যে টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। এই হামলায় ইয়েমেনের মানবিক সংকট আরও গভীর হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
আরশি