ছবি : সংগৃহীত
নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃতি সন্তান, অসহযোগ ও স্বদেশি আন্দোলনের মহান বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায়ের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী আজ।
বিপ্লবী অনিল চন্দ্র রায় ১৯০১ সালের ২৬ মে মানিকগঞ্জের বায়রা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৫২ সালের ৬ জানুয়ারি। তাঁর পিতা অরুণ চন্দ্র রায় ছিলেন ঢাকা জেলার সরকারি শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদাধিকারী। তাঁর স্ত্রী লীলা নাগও ছিলেন একজন বিপ্লবী। লীলা নাগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।
১৯১৪ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯১৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। ১৯২১ সালে বিএ এবং ১৯২৩ সালে ইংরেজিতে এমএ পাশ করেন।
আপন প্রতিভা ও সাহসিকতায় ১৯২০ সালের দিকে ঢাকার বিপ্লবী সংগঠনের নেতৃত্ব চলে আসে তাঁর হাতে। ১৯৩০ সালে কারারুদ্ধ থাকাকালীন তাঁর স্ত্রী লীলা নাগ সংগঠনের দায়িত্ব নেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বহুবার কারাবরণ করেছেন। কারাগারে থাকাকালীন তিনি রচনা করেন বিবাহ ও পরিবারের ক্রমবিকাশ, হেগেল প্রসঙ্গে, ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যা, সমাজতন্ত্রীর দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইত্যাদি গ্রন্থ। পরবর্তীতে ভারতের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাত্মা গান্ধী ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্নেহধন্য ছিলেন অনিল চন্দ্র রায়। মহাত্মা গান্ধীর ঢাকায় আগমন হয়েছিল তাঁরই নেতৃত্বে। তাঁর নামের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের সমসাবাদ গ্রামে রয়েছে ‘গান্ধীর মাঠ’। এই মাঠেই মহাত্মা গান্ধী স্বদেশি আন্দোলনের সভা করেছিলেন, যা এখনো এলাকাবাসীর কাছে ‘গান্ধীর মাঠ’ নামে পরিচিত।
