
আমরা প্রায় সবাই একবারের জন্যই হলেও এই অবস্থা অনুভব করেছি সারা দিন এমন ক্লান্তি যে শুধু বেডে ঢুকে পড়ার কথা ভাবতে থাকি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও আমাদের মন অন্যদিকে থাকে, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। এই তাড়া থাকা ক্লান্তি আর ঘুম না আসার অবস্থা অনেকের জন্য কঠিন এক সমস্যা।
কিন্তু কেন এমন হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের শরীর সবসময় ক্লান্ত কিন্তু ঘুমাতে পারেন না, তাদের মধ্যে বেশ কিছু অভ্যাস ও শারীরিক কারণ থাকে যা তাদের ঘুমের সঠিক চক্রকে বাধাগ্রস্ত করে। আজ আমরা সেই কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করব, যাতে আপনি নিজের সমস্যার কারণ খুঁজে পেতে পারেন এবং ভালো বিশ্রাম নিতে পারেন।
১১টি প্রধান কারণ যাদের ঘুম আসে না কিন্তু ক্লান্ত থাকেন:
১. অতিরিক্ত চিন্তা ও দুশ্চিন্তা:
শরীর ক্লান্ত হলেও মন বিশ্রাম পায় না। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ ঘুম আসতে বাধা দেয়।
২. রাতের রুটিনে বিশৃঙ্খলা:
ঘুমানোর সময় নির্দিষ্ট না হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এতে ঘুম সহজে আসে না।
৩. ঘুমানোর আগে মোবাইল স্ক্রলিং:
স্ক্রিনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়, যা ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করে।
৪. বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ:
চা-কফির অতিরিক্ত সেবনে শরীর উদ্দীপিত থাকে, ফলে সহজে ঘুম আসে না।
৫. মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন:
ডিপ্রেশনে মানুষ সারাদিন ক্লান্ত থাকে, কিন্তু রাতে মস্তিষ্ক শান্ত না থাকায় ঘুম আসে না।
৬. অনিয়মিত ঘুমের সময়:
প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে গেলে শরীর অভ্যস্ত হতে পারে না, ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
৭. কাজের চাপে বার্নআউট:
অতিরিক্ত কাজ ও চাপের ফলে শরীর ক্লান্ত হলেও মন থামে না, যার ফলে ঘুমে সমস্যা হয়।
৮. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
থাইরয়েড, মেনোপজ, বা স্ট্রেসজনিত হরমোনে পরিবর্তন ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে।
৯. অপুষ্টিকর খাবার খাওয়া:
চিনি, ফাস্টফুড ইত্যাদি বেশি খেলে শরীরের রিল্যাক্স করার ক্ষমতা কমে যায়, ঘুম ব্যাহত হয়।
১০. দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমানো:
বেশি সময় বা বারবার ন্যাপ নেওয়া রাতে ঘুমের ঘাটতি সৃষ্টি করে।
১১. পর্যাপ্ত পানি না করা:
ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথাব্যথা, ব্যথা বা অস্বস্তি হয়, যা ঘুম আসতে দেয় না।
যাদের রাতের ঘুম আসে না, তারা যদি উপরের বিষয়গুলো খেয়াল করেন, পরিবর্তন আনেন, তবে ভালো ঘুম পাওয়া সম্ভব।
মিমিয়া