ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ২১:৫০, ৯ মার্চ ২০২৩

কবিতা

.

একটি নদীর বেদনাব্যঞ্জক আত্মগোপন

(তুনাজজিন রিমকে নিবেদিত)

 

মাসুদ চয়ন

নদীটি আত্মগোপনে চলে গেছে;

রেখে গেছে উপভোগের অনাবিল নির্জাস।

হয়তো প্রবল মুমূর্ষু কাতরতা তাকে চেপে বসেছিল-

হয়তো সুচেনা উৎকণ্ঠা মানসপটে প্রবল ঘূর্ণি হয়ে আবর্তিত হয়েছিল-

হয়তো শেষ কক্ষপথের অনন্য আলোকঝটার লেশমাত্রও ছিল না-

তা- সমন্বিত মূর্ছনার ঢেউ উঠেছে চারদিকে!

লজ্জায় নতজানু ফসলের মাঠ, পদ্মফুলের ভরাট নিকুঞ্জ-

শ্যাওলার ফাঁক ফোকরে অগাধ ব্যথা ঝংকার-

শাপলা ফুলের মুক্তানন্দে বিরহ জমাট ঐকতান-

একটি নদীর প্রেমহীন প্রেরণাহীন নিভে যাওয়া! পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি হয়েছে কত!

নীলাচলে লীন হয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়!

কত সহস্র করুণ ক্ষয়িষ্ণু চাঞ্চল্যতা!

রুখে দেওয়া হলো না-

আজ তবে কেন অহেতুক

কাঁদছে কৃতজ্ঞ শিকারিরা,

কাঁদছে জলজ জলজ্যান্ত কীটেরা-

সহজ জলের সাবলীল প্রবাহধারা-

হেলেঞ্চা কলমিলতা-

 

*

 

কখনো আকাশ দেখি

মান্নান নূর

 

কখনো আকাশ দেখি

ভিজে ভিজে হয়ে গেলে উদাসী পাখি

বুকের গোপন খাতায় চুপে কত কী আকিঁ!

কখনো সাগরে যাই

গাঙচিল ভালোবেসে দুহাতে দুঃখ উড়াই

তুমিহীনা তীরে বসে -প্রাণটা পুড়াই।

×