ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

কবিতা

-

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ৫ আগস্ট ২০২২

কবিতা

-

লুকোচুরি বুড়ি

 

মাসুম আজিজ

 

একটি বালক সেদিন সকালে

একটি বালক হঠাই আমার হাত ধরে

ধরে ধরে টেনে নিয়ে গেলো

নিয়ে গেলো দিয়ে গেলো না

ঠিকানা... কোথায় সময়

কোথায় সময়...? বললো এ নয়

লুকোচুরি বুড়ি ওর বয়স হয়েছে

এইতো গিয়েছে সেদিন

সময়কে ধরে : ধরে ধরে টেনে

নিয়ে গেলো যেন পেলো

সময় ; যেখানে সময় নেই

আছে শুধুই লুকোচুরি খেলা

একটি বালক খেলে এই বেলা

খেলে লুকোচুরি খেলা...

আমার যাবার সময়ে

লুকোচুরি বুড়ি... ওর বয়স হয়েছে

 

 

** অররা থেকে লংপেরিয়ের

 

আবু জুবায়ের

 

যদি আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চাই এবং আমাকে মুক্ত করার জন্য প্রার্থনা করি, তবে আমাকে আরও শক্তভাবে বেঁধে রাখো-হোমার

 

আমি আরও ভালো নভোচারী হওয়ার চেষ্টা করছি

আন্ত হৃদয়ের মধ্যে মহাশূন্য রয়ে গেছে অনাবিষ্কৃত,

ভেবে দেখার সময় এসেছে আমি কোথা থেকে এলাম

আমার এই বহিঃম-লে মনে হয় নীল বাতাস ঘিরে আছে

 

বাতাসে ঠোঁট পর্যন্ত নীল হয়ে যাচ্ছে

না স্বপ্ন আর দেখবো না, এবার আবিষ্কার চলবে

সৃষ্টি হবে নিজের গ্রহ নক্ষত্রের গড়ন, ভর আর দূরত্ব

তোমার কাছে ফিরে আসার পথ আমি আগে থেকে ঠিক করে রাখবো

এর মধ্যে আমরা আর যুদ্ধ করবো না;

 

প্রকাশ করবো না

চূর্ণবিচূর্ণ দেহের উপর ছড়ানো স্মৃতি

নেইলপলিশের রঙ, ঠোঁটের লিপস্টিক

 

চারিদিকে সূর্য তাপের অনুপ্রেরণা

সবচেয়ে মারাত্মক বিকিরণ শরীর খুঁজছে;

তবে হাল ছেড়ে দেবো না এই কসম দিলাম

 

তুমি জান এখান থেকে কোন বাধা সৃষ্টি হতে পারে

মহা এক দীপ্তিময় শূন্যতা, মনে হতে পারে সেটা অরোরা,

 

বৃহস্পতির চাঁদ দেখতে দেখতে-

দেবতার মতো গ্রহাণু,

মনে হল সে অপেক্ষার ভারে মৃত

 

আমি পরিকল্পনা করেছি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছি

তোমার জন্য একটি আংটি নিয়ে আসবো

শনি থেকে

 

সময়ের পরিচালনায় সবকিছু এগিয়ে নিয়ে যায়

আলোর সীমাহীন বাধার বিরুদ্ধে

 

বিশ্বাস করো আমি চেষ্টা করেছি তোমার জন্য

স্থানের বিরুদ্ধে, সময়ের প্রতিপক্ষে, মহাশূন্যের গহীনে

 

 

** আমিও কি সংশপ্তক হবো নাকি?

 

সুশান্ত হালদার

 

ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই কেটে গেল অর্ধেক জীবন

বাকিটা ফুটো পাত্র, জল ভরতে ভরতেই পরিশ্রান্ত

তোমাকে ভালোবাসবো কখন?

বলেছিলে

জীবন তো ছোট, শতবর্ষও সামান্য

ধেয়ে আসা মৃত্যু যদি ফিরাতে পারো

ক্ষণিকের জন্য হলেও অভিবাদনে নত হবে গোলাপ শত শত

 

এমনই জীবন!

যতই নাড়ি দেখি মোহরবিহীন শূন্য হাঁড়ি

এখন ভাবি

বিরুদ্ধাচারণে আমিও কি সংশপ্তক হবো নাকি?

×