দৃশ্য জিজ্ঞাসা
কবে যেন গা-পুড়ে যাওয়া জ্বরের ঘোরে
দাঁড়িয়ে ছিল শিমুল গাছ ডালে ডালে রক্ত কা-
তাকে আবার বাস্তবে দেখি।
কে জানে কোনদিন অপার্থিব জ্যোৎস্নায়
দেখেছিলাম আকাশকামী ধবধবে মিনার
তার কথা লিখি আজ!
মাঝে মাঝে ভাবি, স্বার্থচিন্তায় শোকে
মানব সমাজ আরো বর্ষা ও বসন্তের সমস্যায়
শামুকস্বভাবী; খোলের ভেতর ঢুকে যায়!
তাতে কি? মানুষের মন তো আকাশের রং
তাই বাসের জানালা থেকে কৃষ্ণচূড়ার ছাতা
চেরা পাতাগুচ্ছে ফুলের টকটকে যৌবন
মন ভালোবেসেছে চৈতি হাওয়া, রেলব্রিজের আকাশ;
তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, যে হলুদ পাখির লাশ
সিগন্যালের গোড়ায় পড়ে ছিল গতকাল ঐদিকে অতো লাল
কি ফুল ফুটে ঝুঁকে আছে রেলপথের ওপর, পলাশ?
**লোক গল্প
তুষের আগুনের পাশে গ্রামীণ মানুষের গাল-গল্প
শহরের অন্ধকার-অন্ধকার দিকটায়
ভাটিখানের গোপন টান; আর
রেলব্রিজের জলাশয়ে হঠকারিতায় ফুটে থাকা কচুরি ফুল
ক্রমশ আমাকে পেছনে নিয়ে যায়
ঘুড়ি উড়ানোর মাঠ থেকে অবাস্তব তেঁতুল তলায়!
তখন বন শিমুলের ডালে ডালে জমাটবাঁধা রক্ত
শুধু চেরি ফুলের হালকা গোলাপি শীস
ঘুষঘুষে শব্দপ্রেম; আর
খুবই বিরক্তিকর টিভি প্রোগ্রামের সামনে বসে ভাবি
ঘুড়ি উড়ানোর মৌসুমে হাওয়া-মাঠে যাওয়ার
শর্টকাট রাস্তাটা বন্ধ করেছে এক উটকো দেয়াল!
২টি কবিতা
সাহিনা মিতা
**হালকাল
এখন মধ্য আষাঢ়,
মেঘের আরশিতে দেখি মুখ, ক্লান্ত দু’চোখ,
শ্রান্ত শরীর, ফ্যাকাশে ডানা, নিস্তেজ-নির্বল !
এখন ফাগুন, তবু ...
রংচটা ডানায় বারংবার ঘষে দেই সূর্যমুখীর পাখা
খসে খসে ঝরে যায় ফোঁটা ফোঁটা রক্তজবার লাল!
হায় ! কীট থেকে প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতে
আমার কাটল কেবল নন্দিত বত্রিশটি বছর!
**রাজনীতি
কে যাবে তাসের ঘরে?
এখানে কেবল তেলে আর জলে বাঁধে
ঝাঁজ আর বায়ুতে তফাত বুঝে না জন
ধোঁয়া আর কুয়াশা দৃশ্যত এক
আদতে চোখ জুড়ায় আর পোড়ায়।
কে যাবে বালুর বিলে
যেখানে শুষে যায় সব জল
থরে থরে প্রাণত্যাগে জাতে জাতে মীন।
জনমন ¯্র্েরাতের মতো বয়, আটকে দেবে? দাও!
জমে জমে একবার নির্ঘাত ভেঙ্গে দেবে বাঁধ।
কে বুঝে কীটের ভাষা
পরিণত প্রজাপতি হয়ে যদি না ছড়ায় রং !