
ছবি: প্রতীকী
নিজেকেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো—শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এটি এখন অনেকের জন্য দারুণ কাজে দিচ্ছে। এটি যেমন দ্রুত, তেমনই সহজলভ্য, আর খানিকটা মজারও বটে!
কেন এতো কার্যকর এই পদ্ধতি?
ট্র্যাডিশনাল নোট নেওয়ার অ্যাপের চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অনেকটাই এগিয়ে, কারণ এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আলাদা করে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে হয় না, জটিল ইন্টারফেসও নেই। নিজের সঙ্গে করা চ্যাটটাই হয়ে ওঠে এক ধরনের ডিজিটাল নোটবুক বা ‘সেইফ বক্স’, যেটি যে কোনো সময় এক ক্লিকেই খুলে ফেলা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ব্যবহার করলে আরও সুবিধা—ফোন আর কম্পিউটারে একইসঙ্গে ইনফো সিঙ্ক করা সম্ভব হয়, যা একাধিক স্ক্রিন ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সহায়ক।
কীভাবে ব্যবহার করবেন? ৫টি চমৎকার উপায়
নিজের এই ডিজিটাল কর্নারটি কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়? নিচে দেওয়া হলো কয়েকটি বাস্তবিক ব্যবহার—
- লিংক সংরক্ষণে: কোনো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল, ট্র্যাকিং নম্বর বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট—যা হারাতে চান না।
- রেসিপি বা ছবি রাখার জায়গা: রান্নার আইডিয়া বা অন্য দরকারি ভিজ্যুয়ালগুলো গুছিয়ে রাখুন সহজে।
- ভয়েস মেমো রেকর্ড: হঠাৎ মাথায় আসা কোনো চিন্তা বা আইডিয়া নোট করে রাখার আদর্শ পদ্ধতি।
- আইডিয়ার তালিকা তৈরি: টু-ডু লিস্ট, ক্রিয়েটিভ প্রকল্প, বা মনে রাখা দরকার এমন প্রশ্ন লিখে রাখুন।
- ফাইল ট্রান্সফার: ফোন থেকে কম্পিউটারে ফাইল পাঠাতে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব বেশ উপযোগী।
নিজেকে মেসেজ পাঠানো: একদম সহজ
কীভাবে শুরু করবেন? হোয়াটসঅ্যাপে নিজের নম্বরটি একটি নতুন কনট্যাক্ট হিসেবে সংরক্ষণ করুন। এরপর সাধারণ চ্যাটের মতোই নিজেকে মেসেজ পাঠাতে থাকুন। চাইলে সেই চ্যাটটি পিন করে রাখুন, যাতে দ্রুত অ্যাক্সেস পাওয়া যায়।
বিকল্প হিসেবে মেসেঞ্জারও আছে
ফেসবুক মেসেঞ্জারেও অনেকে এই সুযোগ ব্যবহার করেন, যদিও অধিকাংশ ব্যবহারকারীর মতে হোয়াটসঅ্যাপের ইন্টারফেস অনেক বেশি সহজ ও নমনীয়।
হাতের নাগালে একটি ডিজিটাল টুলবক্স
হোক সেটা কোনো আইডিয়া সংরক্ষণ, ফাইল শেয়ার, বা নিজের ভাবনা সংরক্ষণ করে রাখা—নিজেকেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো এখন এক চমৎকার ডিজিটাল অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারীর মতো আপনিও হয়তো এতে উপকার খুঁজে পাবেন।
সূত্র: https://3dvf.com/en/sending-messages-to-yourself-on-whatsapp-a-strange-habit-that-can-actually-be-useful/
রাকিব