
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেত্রী ও প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত ফের খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একাধিক ভিডিও ও বার্তা শেয়ার করে তিনি জানান, মহাদেব নাকি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী সাত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে হবে। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেছেন— নিজ ঘরেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন।
ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি সেলফি পোস্ট করে তনুশ্রী লেখেন—“মহাদেব বলছেন, আগামী অন্তত সাত বছর মোদিজিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। সবাই যেন তাঁকে সহযোগিতা করেন দেশকে এগিয়ে নিতে। সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, তাই এসব না করাই ভালো।”
আরও বলেন—“তাঁকে শান্তিতে তাঁর কাজ করতে দিন। সবার মঙ্গল এর মধ্যেই রয়েছে, সবাই মিলে দেশ গঠনে ওনার পাশে দাঁড়ান।”
এই বার্তার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
এর কিছুদিন আগে তনুশ্রী একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়। ভিডিওতে তিনি বলেন—“বন্ধুরা, আমি নিজের ঘরেই হেনস্তার শিকার হচ্ছি। খুব আতঙ্কিত হয়ে পুলিশকে ফোন করেছি। তারা বলেছে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে। আমার শরীর খারাপ, কাল বা পরশু যেতে পারি।”
তিনি আরও জানান, বিগত ৪-৫ বছর ধরে এই হেনস্তা চলছে এবং এর ফলে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। তিনি জানান, “আমি বাড়ির কোনও কাজ করতে পারছি না। গৃহকর্মী রাখতে পারছি না, কারণ তারা চুরি করে বা খারাপ ব্যবহার করে। আমি একাই সব কাজ করছি। দরজায় লোকজন এসে দাঁড়ায়... আমি নিজের ঘরেই শান্তিতে থাকতে পারছি না।”
ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন—“আমি এই হেনস্তায় ক্লান্ত! এটা ২০১৮ সালের #MeToo আন্দোলনের পর থেকেই চলছে। আজ বিরক্ত হয়ে পুলিশকে ফোন করলাম। দয়া করে কেউ কিছু করুন, দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই।”
তনুশ্রী দত্ত ২০০৪ সালের ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার বিজয়ী। পরে আশিক বানায়া আপনে, ঢোল, ভাগম ভাগ–এর মতো ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে পরিচিতি পান।
২০১৮ সালে তিনি বলিউডে #MeToo আন্দোলনের অন্যতম প্রথম কণ্ঠস্বর হিসেবে সামনে আসেন। তিনি অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের একটি ছবির শুটিংয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। যদিও অভিযোগ আগে থেকেই লিখিত ছিল, দীর্ঘদিন কোনও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আবির