ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট, পরে যোগদান

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ইস্যুতে মতানৈক্য

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২৮ জুলাই ২০২৫

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ইস্যুতে মতানৈক্য

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ইস্যুতে মতানৈক্য

রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় এবং ন্যায়পাল নিয়োগের জন্য পৃথক ও স্বচ্ছ নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। পূর্বের আপত্তি সত্ত্বেও এই ইস্যুতে আলোচনা শুরু হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপি। অবশ্য পরে আলোচনায় যোগ দেন বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। 
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২০তম দিনের আলোচনা শুরু হয়। দুপুর একটায়  বৈঠকে যোগ দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ। তবে, এই ইস্যুতে সারাদিন আলোচনা হলেও একমত হতে পারেনি দলগুলো। তবে বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ না জন্ম নিতে পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন, সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব  দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। 
তিনি আরও বলেন, আমরাই প্রস্তাব করেছি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে, পরবর্তীকালে সংসদ কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহি থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বাঁধা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়। তিনি বলেন, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে এমন দাবি কেউ করেনি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়। আমরা মনে করি না যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিএসসি, দুদক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও ন্যায়পাল নিয়োগ সাংবিধানিকভাবে হওয়ার পক্ষে জামায়াত। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল চায় নির্বাহী বিভাগ এ নিয়োগ দেবে। তাদের আশঙ্কা এতে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি, এ কথা সঠিক নয়। বরং এর মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ পাবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউটের কোনো সুযোগ আছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই। আমরা বলেছি, পিএসসি সাংবিধানিক হতে হবে। তারা কেন বিরোধিতা করছেন, তার মানে আপনারা দলীয়করণ করতে চান। এ নিয়ে দেশের জন্য ভালো হলে আর কোনো দলের সমস্যা হলে, তা জাতি মানবে না। সচিবালয়ে সারা জনম প্রেতাত্মা থাকবে, তা হবে না। আমরা প্রেতাত্মা-বিহীন সচিবালয় চাই।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দলনিরপেক্ষ নিয়োগের বিষয়টি বিএনপি না মানার কারণ বোধগম্য নয়। দলটি যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ায় একমত, তাই  অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও সাংবিধানিকভাবে নিয়োগ হওয়ার বিষয়ে একমত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমরা নির্বাহী বিভাগে হস্তক্ষেপের কথা বলছি না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ রাখার কথা বলেছি। সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান স্বায়ত্তশাসিত পরিচালিত হতে হবে। সেখানে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকা উচিত না। কেন যেন বিষয়গুলো বিএনপি বুঝতে চায় না। 
তিনি বলেন, দলীয় নিয়োগের কারণে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্বতা ঠিক রাখতে পারছে না। সেখানে নানা সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। গত দেড় দশকে নির্বাচন একতরফা হওয়ার কারণে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারেনি। এ কারণে শুধু নির্বাচন কমিশনের দল নিরপেক্ষতার ব্যাপারেই তারা একমত হবে। আর বাকি যে বডিগুলো আছে, (সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক বা ন্যায়পাল) সেগুলোতে একমত হবে না। এটা ঠিক নয়।
সংলাপ শেষে প্রেস ব্রিফিং-এ অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক প্রস্তাবনাগুলো বারবার পরিবর্তন করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলো যাতে একমত হতে পারে এজন্য এমনটি করা হয়। আজকের (সোমবার) বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় ও ন্যায়পাল নিয়োগ এবং নারী আসনে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আলোচনায় অধিকাংশ দল একমত হলেও নিয়োগ কমিটির কাঠামো নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে। আমরা তাদের সংশোধনীগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আগামীতে আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়া জুলাই জাতীয় সনদ রাজনৈতিক দলগুলোকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ৩০ জুলাই বুধবারের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট ॥ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় এবং ন্যায়পাল নিয়োগের জন্য পৃথক ও স্বচ্ছ নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে বিএনপি। পরে অন্য ইস্যুতে আলোচনা শুরু হলে সংলাপে যোগ দেয় বিএনপি। 
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনে বৈঠকের শুরুতে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন দলটির নেতারা।
দিনের শুরুতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় এবং ন্যায়পাল নিয়োগের জন্য পৃথক ও স্বচ্ছ নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়। এসব বিষয়ে একমত না হওয়ায় বৈঠকে থেকে বেরিয়ে যায় বিএনপি। কমিশনের পক্ষে জানানো  হয়েছে -পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারেই বিএনপি বৈঠক বয়কট করে।
সকাল সাড়ে ১১টার পরে বিষয়টি আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান তারা আলোচনায় অংশ নেবে না। পরে আলী রীয়াজ বলেন, বিএনপির পক্ষে বলা হয়েছে তারা আলোচনায় অনুপস্থিত থাকবে। একটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় অংশ না নিলে আলোচনা করা যাবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। 
এ সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, একটি বড় দল আলোচনায় অংশ না নিলে ঐকমত্য পৌঁছানো সম্ভব না। আলোচনায় অগ্রসর হওয়া সম্ভব না। পরে সংলাপের সংলাপের সঞ্চালক মনির হায়দার বলেন, এর আগে এক বা একাধিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। 
সালাহউদ্দিন আহমেদ  বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় আমরা ওয়াকআউট করেছি। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিরীক্ষক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান আলোচনায় আমরা অংশ নেব না বলেছি। আলোচনায় আবার যোগ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, এইসব ইস্যুতে আমরা আলোচনায় অংশ নেব না সেটা বলেছি। কিন্তু আলোচনায় আবার যোগ দিয়ে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরব।
এর আগে ২৩ জুলাই রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে প্রতীকী ওয়াকআউট করে সিপিবিসহ তিন দল। ওইদিন অধিবেশন শুরুর সঙ্গে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউটের ঘোষণা দেন তিনি। তাকে সমর্থন জানান জাসদের স্থায়ী কমিটির মুশতাক হোসেন এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
আগুন আতঙ্ক ॥ এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ চলাকালে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভবনে আগুন আতঙ্কে দেখা দেয়। ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে থাকায় দ্রুত বের হয়ে যান রাজনীতিবিদরা। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ সবাইকে বের হওয়ার জন্য বলেন। তখন সবাই হুড়াহুড়ি করে বের হয়ে নিচে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণ পর বৈঠক শুরু হলে ফায়ার অ্যালার্মের ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে কমিশন। 
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে আমরা লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে দ্রুত কমিটি গঠন করা হবে। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, সবাই দেখছেন, সবার জানা দরকার আসলে কী ঘটেছে। আমি কমিশনের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করলাম।
ফায়ার অ্যালাম বেজে উঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি ॥ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ চলার সময় ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলসমূহের সংলাপ চলাকালীন সোমবার আনুমানিক দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একাডেমিতে স্থাপিত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম আকস্মিক সক্রিয় হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একাডেমিতে কর্তব্যরত কর্মচারীরা অ্যালার্মের সম্ভাব্য উৎসস্থল পরিদর্শন করেন এবং কারণ অনুসন্ধান করেন। প্রাথমিক তদন্তে কোথাও কোনো ধরনের আগুন বা ধোঁয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিষয়টি অধিকতর খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে, পরিচালক, ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে আহ্বায়ক করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ॥ নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আপত্তি নেই। তবে এখনো পর্যন্ত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। তিনি আরও বলেন, কে সরকারি বা কে বিরোধী দল হবে, সেটি পরের বিষয়। আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা থাকবে এক নম্বরে। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে আমরা ছোটখাটো যেখানে দায়িত্ব পালন করেছি, সেখানে সে দৃষ্টান্ত রেখেছি।

প্যানেল হু

আরো পড়ুন  

×