
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে বড় হুমকি দিল ইয়েমেনের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হুতি। সামরিক অভিযানের চতুর্থ ধাপে প্রবেশের ঘোষণা দিয়ে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জানিয়েছেন—ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য করে কিংবা তাদের বন্দর ব্যবহার করলেই, যে কোনো দেশের যেকোনো জাহাজ হবে হুতিদের বৈধ লক্ষ্য।
রয়টার্স হুতি সামরিক মুখপাত্রের বরাতে জানায়, এখন থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব জাহাজকে তারা বৈধ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করবে। গোষ্ঠীটির দাবি—ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং গাজা অবরোধ না তুলে নেওয়া পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযান চলবেই। তারা জোর দিয়ে বলেছে, এই হামলার সিদ্ধান্ত নৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
সকল আন্তর্জাতিক শিপিং কোম্পানিকে সতর্ক করে হুতি যোদ্ধারা বলেছে—ইসরাইলি বন্দর ব্যবহারে সম্পৃক্ততা বন্ধ না করলে তাদের জাহাজও হুমকির মুখে পড়বে। কেউ সতর্কবার্তা না মানলে সেই জাহাজ যে কোনো সময় ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার শিকার হতে পারে।
তবে গোষ্ঠীটি একযোগে এটাও জানিয়েছে, ইসরাইল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে, তাহলে তারা সব ধরনের হামলা স্থগিত করবে।
হুতি মুখপাত্র বলেন, “ইসরাইলের শাসনব্যবস্থা গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি। তাদের আগ্রাসন বন্ধে এবং গাজা অবরোধ প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতেই হবে।” তিনি জানান, বর্তমানে গাজার জনগণ চরম খাদ্য ও পানির সংকটে ভুগছে, যা কোনো মানবিক বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য নয়—বিশেষ করে আরব ও মুসলিম দুনিয়ার কাছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এরপর থেকেই নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে, দখলদারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী। বিশেষ করে লোহিত সাগর ও ইসরাইলি বন্দরে তারা তাণ্ডব চালিয়েছে।
এ কারণে আমেরিকা ও দখলদার সেনাদের হামলার শিকার হয় হুতিরা। কিন্তু তাতে মোটেও দমেনি ইস্পাত-দৃঢ় যোদ্ধারা। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে চলা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তারা।
এদিকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করছে না দখলদার ইসরাইল। মানবিক সহায়তার নামে, পবিত্র ভূমির বাসিন্দাদের হত্যায় মেতে উঠেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনারা। আর এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য ও মানবিক সংকট।
শেখ ফরিদ