
ছবিঃ সংগৃহীত
সাংহাইয়ের রাস্তায় মানুষের মতো আচরণকারী একটি রোবট ট্রাফিক পুলিশ, যার নাম ‘সিয়াও হু’ (অর্থ: ছোট বাঘ), এখন নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চায়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে পথচারীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং মৌলিক ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়াও এর দায়িত্বের মধ্যে পড়েছে।
সাংহাইয়ের হুয়াংপু জেলায় বুধবার সন্ধ্যায় একটি ব্যস্ত মোড়ে সাদা হেলমেট, এলইডি টিউব লাইট এবং প্রতিফলকযুক্ত হলুদ পোশাকে সাজানো এই রোবটটি দেখা যায় পথচারীদের নির্দেশনা দিতে। এর মুখ থেকে শোনা যায়, “লাল বাতি, দয়া করে থামুন”—এমন স্বর নির্দেশনা। পাশাপাশি, এটি হাতের ইশারায় পথচারীদের রাস্তা পার হতে সাহায্য করছে, একদম যেন একজন মানব পুলিশ অফিসার। এর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি এবং কথাবার্তা চীনা ট্রাফিক পুলিশদের আদলে তৈরি।
চার বছর গবেষণার ফল ‘সিয়াও হু’ এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে
সাংহাই পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ‘সিয়াও হু’ এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। রোবটটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় চার বছর। এটি এখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বাস্তব পরিস্থিতিতে শেখার একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ব্যস্ত এলাকা বা বড় ইভেন্টে মানব পুলিশের বিকল্প হিসেবে এ ধরনের রোবট ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া—চমক আর মুগ্ধতায় ভরা
এই রোবটের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার বন্যা বইছে। এক ব্যক্তি লিখেছেন, “সাংহাইয়ের রোবটিক ট্রাফিক পুলিশ, দারুণ লাগছে! এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে, তবে শিগগিরই পুরোপুরি দায়িত্বে নামবে!”
আরেকজন লিখেছেন, “আমরা এখন সত্যিই বাস্তবে রোবোকপ যুগে প্রবেশ করেছি। অন্তত সাংহাইয়ে তো বটেই।”
তবে কেউ কেউ মজার ছলে বলছেন, “এটা যদি নিউইয়র্কে থাকত, তাহলে এতক্ষণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেত।”
একজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “এত ফিউচারিস্টিক! বিশ্বের প্রথম হিউম্যানয়েড ট্রাফিক কপ এখন সাংহাইয়ের বুন্ডে! একে তৈরি, প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়নে লেগেছে চার বছরের বেশি সময়।”
আরও কেউ লিখেছেন, “চীনের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে আমি সত্যিই বিস্মিত ও উত্তেজিত।”
শেষ কথা
এ ঘটনা বিশ্বকে নতুন করে দেখিয়ে দিল, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স প্রযুক্তি আমাদের জীবনের দৈনন্দিন অংশ হয়ে উঠছে। তবে প্রযুক্তির এই উন্নয়ন যতটা মুগ্ধ করছে, ততটাই প্রশ্নও তুলছে—মানব শ্রমের ভবিষ্যৎ কোথায়?
ইমরান