
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সনদ গৃহীত হওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে তার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সাতটি অঙ্গীকারনামা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র পরিচালনায় ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সনদের খসড়ায় বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পরেও একটি সাম্য ও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে গেল দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি ত্রাসের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলে সনদের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়।
সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টরে ১৬৬টি সুপারিশ সংবলিত একটি প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সনদে উল্লেখ করা সাতটি অঙ্গীকারের মধ্যে অন্যতম হলো ২০২৫ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যে জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
বিভিন্ন খাতে প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী সংযোজন ও বিয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার এই সুপারিশগুলো গৃহীত হওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। সনদের খসড়ায় এই বাস্তবায়ন অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এই সনদের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সংস্কারভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ছামিয়া