ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বজ্রপাতের সময় যেসব কাজ এড়িয়ে চলা জরুরি

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ২৮ জুলাই ২০২৫

বজ্রপাতের সময় যেসব কাজ এড়িয়ে চলা জরুরি

বজ্রপাতের সময় পানির সংস্পর্শে থাকা যাবে না

অনেকে ভাবেন, ঘরের ভেতরে থাকলেই নিশ্চিন্ত—কিন্তু সত্যিটা একটু ভিন্ন। গবেষণা বলছে, ঝড় বা বজ্রপাতের সময় যদি আপনি বাথরুমে থাকেন, গোসল করেন বা রান্না ঘরের পানির সংস্পর্শে থাকেন, তাহলে ঘরের মধ্যেও আপনি নিরাপদ নন।

বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করছেন বজ্রপাতের সময় পানির সংস্পর্শে থাকা যে কোনো কাজ যেমন গোসল, থালা-বাসন ধোয়া বা হাত ধোয়াও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। কারণ বিদ্যুৎ চমক ভবনে আঘাত হানলে তা ধাতব পাইপের মাধ্যমে পানির লাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি প্লাস্টিক পাইপ হলেও ঝুঁকি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

বজ্রপাতের সময় যেসব কাজ এড়িয়ে চলা জরুরি:

গোসল করা: ধাতব পানির পাইপ বা ইলেকট্রিক লাইনের মাধ্যমে বজ্রপাতের বিদ্যুৎ বাথরুমে প্রবেশ করতে পারে।
বাথটাবে থাকা, থালা-বাসন ধোয়া, রান্নার কাজ করা: পানির সংস্পর্শে থাকা যেকোনো কাজ এসময় বিপজ্জনক।
ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার: টিভি, কম্পিউটার বা চার্জে থাকা যন্ত্র ব্যবহার করা এসময় ঝুঁকিপূর্ণ।
তারযুক্ত ফোন ব্যবহার: ল্যান্ডফোন ব্যবহার নয়, কর্ডলেস বা মোবাইল ফোনই নিরাপদ।
জানালা বা দরজার পাশে দাঁড়ানো: সরাসরি বিদ্যুৎ প্রবাহের ঝুঁকি এড়াতে ঘরের ভেতরের অংশে অবস্থান করুন।
গাছের নিচে দাঁড়ানো বা কংক্রিট দেয়ালে হেলান দেওয়া: বজ্রপাত গাছ ভেঙে ফেলতে পারে, আর কংক্রিটের মধ্যে থাকা ধাতব তার হতে পারে বিপজ্জনক পরিবাহী।
পানির আশেপাশে থাকা: পুকুর, নদী, সুইমিং পুল বা সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে অবস্থান করা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে।

নিরাপদ থাকার জন্য করণীয়:

ঝড় শুরু হলে যত দ্রুত সম্ভব ঘরের ভেতরে চলে যান।
ঘরে না থাকলে গাড়িতে আশ্রয় নিন, জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন।
শেষ বজ্রপাতের শব্দ শোনার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করুন।
বাইরে থাকলে গাছ বা ধাতব বস্তু থেকে দূরে সরে যান।
নিরাপদ জায়গা না পেলে পায়ের পাতাকে একসঙ্গে রেখে, হাত দিয়ে কান ঢেকে, মাথা নীচু করে বলের মতো হয়ে বসে থাকুন।

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে 

তাসমিম

×