
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
দূষিত ময়লা আবর্জনায় পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পাঠানীপুল এলাকাটি। দীর্ঘদিন ধরে এসব ময়লা দূষিত হয়ে বিষাক্ত গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।মহাসড়ক ঘেঁষে তৈরি হয়েছে বিশাল ময়লার ভাগাড়।
প্রতি মুহূর্তে সেখান থেকে বিষাক্ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। কুকুর আর কাক মুখে করে সেখানকার আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে সর্বত্র। গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কৃষিসহ স্থানীয় প্রকৃতির নানা প্রাণীও।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দোহাজারী পাঠানীপুল এলাকায় মহাসড়কের দু'পাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে বিষাক্ত ময়লার ভাগাড়। এতে চরম ভোগান্তির মাঝে পড়েছে সাধারণ পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা৷ নিত্যদিন হাজারো মানুষের এক মাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা আরকান সড়কটি। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার যাওয়ার একমাত্র সড়ক। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লার স্তূপে পরিণত হওয়ার স্থানীয় জনসাধারণ মানুষের কাছে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পথচারীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পাঠানীপুল এলাকায় ব্রিজের পাশে ফেলানো হচ্ছে এসব ময়লা। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, কার্টন, ককশিট, কাগজ,পলিথিন, বস্তা, ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, উচ্ছিষ্ট খাবার সব ছড়িয়ে -ছিটিয়ে আছে এলাকাজুড়ে। সড়কের পাশে ময়লা ফেলায় পথচারী ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মাঝে পড়েছে।
অটোরিকশা চালক শাহ আলম জানান, যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় বিষাক্ত দুর্গন্ধের জন্য দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। দুর্গন্ধের কবলে পড়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দোহাজারী পৌরসভার ময়লা ও বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত। ময়লার স্তূপের কারণে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীও রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, এসব ময়লা আবর্জনা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবং ডাম্পিং স্টেশনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। ময়লা অপসারণের জন্য যে জায়গা দেখা হয়েছে তা আগামীকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করা হবে।
মিরাজ খান