
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মস্কোকে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে তিনি তা ১০ থেকে ১২ দিনে নামিয়ে এনেছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্কটল্যান্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যেটা আগেই জানি বলে মনে করছি, তার ভিত্তিতে ৫০ দিনকে কমিয়ে আনছি।’
চলতি মাসের শুরুতেই রাশিয়াকে ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বারবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না।
হোয়াইট হাউসে ফেরার আগেই, নিজেকে “শান্তির দূত” হিসেবে দাবি করে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন।
নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি
যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই রাশিয়া এবং রুশ রপ্তানি পণ্যের ক্রেতাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘সব সময় আমি কঠোর অবস্থান নেইনি, কারণ মনে হয়েছে, আমরা একাধিকবার একটা সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম।’
জেলেনস্কিকেও তিরস্কার
ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপরও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ভাবছিলাম, বিষয়টা অনেকবার মীমাংসা হয়ে গেছে। কিন্তু তারপর পুতিন কিয়েভে রকেট ছুড়ে নার্সিং হোমে মানুষ হত্যা করেন। আমি বলি, এটা কোনো সমাধান নয়।’
যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে তার প্রশাসনের ভেতরেই নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের হুমকি ও বারবার সময়সীমা বদলের কৌশল বাইডেন প্রশাসনের কূটনৈতিক রীতিনীতির চেয়ে ভিন্ন এবং এতে বিশ্ব রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স।
রাকিব