ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

শুধু শান্ত স্বভাবের কারণে চাকরি সংকটে! অফিসে অভিযোগ ‘ইমোজি পাঠান না’

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৪ জুলাই ২০২৫

শুধু শান্ত স্বভাবের কারণে চাকরি সংকটে! অফিসে অভিযোগ ‘ইমোজি পাঠান না’

ছবি: সংগৃহীত

আজকের কর্পোরেট সংস্কৃতিতে কেবল নিজের কাজ মন দিয়ে করলেই যেন যথেষ্ট নয়। ২৯ বছর বয়সী এক নারী সম্প্রতি দাবি করেছেন, অফিসে বেশি চুপচাপ থাকার কারণে তাকে মানবসম্পদ বিভাগে (HR) রিপোর্ট করেছেন তার এক সহকর্মী।

রেডিটে ‘@Kataklysm17’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নারী জানান, তিনি একটি মার্কেটিং এজেন্সির অ্যানালিটিক্স বিভাগে কাজ করেন এবং স্বভাবগতভাবে একজন অন্তর্মুখী (introvert)। তার কাজ মূলত স্প্রেডশিট ও ডেটা বিশ্লেষণ নিয়ে, তাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে তার সহকর্মী 'এরিন' এই আচরণে অসন্তুষ্ট।

অভিযোগ: কথা বলেন না, ইমোজি পাঠান না

এই নারী লিখেছেন, এরিন প্রায়ই অভিযোগ করতেন—তিনি মিটিংয়ে কম কথা বলেন, টিম চ্যাটে অংশ নেন না। একপর্যায়ে এরিন HR-এ অভিযোগ করেন, তাকে ‘মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ এবং ‘সহযোগিতা না করা’ বলে অভিহিত করেন।

যদিও তার ম্যানেজার তার পক্ষে কথা বলেন এবং তাকে দলের অন্যতম মনোযোগী ও নির্ভরযোগ্য সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেন, HR বলেছে, অভিযোগ রেকর্ড করতেই হবে।

তিনি লিখেছেন, “আমি চমকে গিয়েছিলাম যখন HR আমাকে ডেকে পাঠায়। আমি নিয়মিত ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করি, সব ডেডলাইন মেইনটেইন করি, কিন্তু কেবল চুপচাপ থাকার কারণে আমাকে এভাবে টার্গেট করা হবে—এটা ভাবিনি।”

ছোটখাটো কথোপকথন না করলেই ‘দোষ’?

নারীটি বলেন, এরিন আরও একবার অভিযোগ করেন—এইবার বলেন যে, তিনি ‘ওয়াটার কুলার আলাপ’ বা গ্রুপ স্ল্যাকে ‘ইমোজি’ না পাঠিয়ে টিমের মনোবল নষ্ট করছেন।

এই পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়, এবং অনেকেই মন্তব্য করেন, বর্তমান অফিস সংস্কৃতিতে চুপচাপ ও কাজকেন্দ্রিক কর্মীরা প্রায়শই অন্যায় চাপের মুখে পড়েন।

একজন মন্তব্য করেন, “এরিন নিজেই হয়তো হীনমন্যতায় ভুগছেন। চুপচাপ থাকা কাউকে দেখে হয়তো মনে হচ্ছে, তার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে।”

আরও একজন লেখেন, “তোমার পেশাদারিত্ব ধরে রাখার জন্য গর্বিত। চুপ থাকা মানেই সমস্যা—এমন ভাবতে দিয়ো না।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে—‘টিমওয়ার্ক’ মানে কি কেবলই মুখরতা? না কি বাস্তব দক্ষতাও বিবেচনায় আসা উচিত?

শিহাব

×