
ছবি: সংগৃহীত।
ঘন, শক্ত ও ঝলমলে চুলের জন্য ডিমকে অনেকেই ‘প্রাকৃতিক হেয়ার টনিক’ মনে করেন। কেউ ডিম সেদ্ধ বা কাঁচা খেয়ে থাকেন চুল ভালো রাখার আশায়, আবার কেউ সরাসরি মাথার ত্বকে লাগান ডিমের মিশ্রণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, চুলের বৃদ্ধিতে আসলেই কোনটা বেশি কার্যকর—ডিম খাওয়া, নাকি চুলে লাগানো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমে থাকা প্রোটিন, বায়োটিন, ভিটামিন ডি ও আয়রন চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে শরীরে অভ্যন্তরীণভাবে গেলে আর চুলের গোঁড়ায় সরাসরি প্রয়োগ করলে কাজের ধরন হয় একেবারেই আলাদা।
এই প্রতিবেদনে জানুন—
-
ডিম খাওয়ার ফলে কীভাবে চুল উপকৃত হয়
-
ডিম চুলে লাগালে আসলে কী হয়
-
কোনটা কাকে suit করে
-
এবং কোন পদ্ধতিতে কতটা উপকার পাওয়া যায়
ডিম খেলে চুলের উপকার কী?
ডিমে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও বায়োটিন, যা চুলের মূল গঠনতন্ত্র 'ক্যারাটিন' তৈরিতে সহায়তা করে। নিয়মিত ডিম খেলে শরীর ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যার প্রভাব পড়ে চুলে।
উপকারিতার মধ্যে রয়েছে:
-
চুল পড়া কমে
-
চুলের গোড়া শক্ত হয়
-
চুলের বৃদ্ধির হার বাড়ে
-
চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে
চুলে ডিম লাগালে কী হয়?
ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম চুলে লাগালে সরাসরি চুলের প্রোটিন ও আর্দ্রতা যোগায়। বিশেষ করে রুক্ষ ও ড্যামেজড চুলে তাৎক্ষণিক মসৃণতা ও শাইন ফেরায়।
লাভের মধ্যে রয়েছে:
-
চুলের রুক্ষতা কমে
-
চুল হয় ঝলমলে ও নরম
-
ড্যামেজড চুল রিপেয়ার হয়
-
খুশকি ও স্ক্যাল্প সমস্যা কিছুটা কমে
কোনটা বেশি কার্যকর?
-
অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য ও স্থায়ী ফলাফল চান? তাহলে ডিম খাওয়াই বেশি উপকারী।
-
দ্রুত চুলে সফটনেস বা shine চান? তাহলে চুলে লাগানো যায় সপ্তাহে একবার।
তবে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে—ভিতর থেকেও পুষ্টি এবং বাইরের যত্ন—দুটোই জরুরি।
করণীয়:
-
সপ্তাহে ৩–৪ দিন একটি করে ডিম খাওয়া যেতে পারে (স্বাস্থ্য অনুযায়ী)
-
সপ্তাহে ১ বার ডিমের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন (ডিম + দই/অলিভ অয়েল)
-
ডিম ব্যবহারের আগে অ্যালার্জি আছে কি না পরীক্ষা করুন
-
ডিম লাগিয়ে ২০–৩০ মিনিট রাখার পর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
ডিম শুধু শরীরের নয়, চুলের জন্যও এক অনন্য পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান। তাই খাবার প্লেটে যেমন ডিম রাখবেন, তেমনি দরকার হলে চুলেও ব্যবহার করুন—তবে নিজের চুলের ধরন ও প্রয়োজন বুঝে। মনে রাখুন, স্বাস্থ্যকর চুলের চাবিকাঠি হলো ভেতর ও বাহির—দুই দিক থেকেই যত্ন।
নুসরাত