
সম্প্রতি প্রকাশ হলো এসএসসি পরীক্ষার ফল। গড় পাসের হার ৬৮.০৪ ভাগ। এবার ২০২৫ সালে তুলনামূলকভাবে পাসের হার অনেক কমে গেছে। তবে টানা ১০ বছর ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে আছে। যেহেতু এবার পাসের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা কম। তাই ফেল এর হার বেড়ে গেছে। কারও এমনো হয়েছে- সব বিষয়ে এ প্লাস, শুধু গণিতে অকৃতকার্য। আবার কারও আশানুরূপ ফলাফল হয়নি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিটা অভিভাবকই চান তার সন্তান প্রথম হোক বা খুব ভালো ফলাফল করুক। যখনই তা মন মতো না হয় সন্তানদের প্রতি তিরস্কারের তীর ছুঁড়তে থাকেন অভিভাবকরা। তারা ভাবেন না, যে ছেলে বা মেয়েটার ফলাফল খারাপ হয়েছে তার মনের অবস্থাটা কেমন। এই শিক্ষার্থী সারা বছর একটা ভালো ফলাফলের জন্য কত পরিশ্রম করেছে। রেজাল্ট ভালো না হওয়ায় সেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন অনেক শিক্ষার্থীকে দেখেছি যে মধ্যমমানের ছাত্র ছিল। তাই তার কাছে অভিভাবকদের খুব একটা চাওয়া নেই। সবাইকে বলার মতো মোটামুটি একটা রেজাল্ট হলেই হলো। কিন্তু সেই ছেলে নিজেকে প্রস্তুত করেছে এ প্লাস পাওয়ার আশায়। রেজাল্টের পর দেখা গেল খুব সামান্য নাম্বারের জন্যে তার এ প্লাস আসেনি। বাবা-মা বাকরুদ্ধ সন্তানের এত ভালো ফলাফলে। কিন্তু ছেলেটা খুব মন খারাপ করে নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রেখেছে। বাবা মা বারবার বলছেন এই ফলাফলেই তারা খুব খুশি।
ফলাফল যা হওয়ার হয়ে গেছে, তাদের তিরস্কার না করে বরং বলুন- এটা নিয়ে পড়ে না থেকে পরবর্তী পড়াশোনার জন্যে তৈরি হতে। যাতে পরবর্তীতে আর এমন না হয়। আপনার চেয়ে বেশি কষ্টে আছে এই বাচ্চাটা। এত পরিশ্রমের পরও যার রেজাল্ট আশানুরূপ হয়নি।
আপনার তিরস্কার তাকে ভুল পথে পরিচালিত করবে। সন্তানদের প্রথম হওয়ার জন্য বা খুব ভালো রেজাল্টের জন্য সারাক্ষণ না বকে বরং তাদের আনন্দ নিয়ে পড়ার সুযোগ করে দিন। ফলাফল খারাপ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন- আরেকটু সিরিয়াস হলে আরও ভালো রেজাল্ট হতো। কিন্তু বকা, তিরস্কার, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা বাদ দিন। বন্ধু হয়ে পাশে থাকুন, ভরসা দিন।