
সংগৃহীত
স্টিলের কনটেইনারে খাবার সংরক্ষণ করা অনেকেরই প্রিয় অভ্যাস। তবে, কিছু খাবার রয়েছে যা স্টিলের কনটেইনারে রাখলে তাদের পুষ্টিগুণ কমে যায় এবং স্বাদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু খাবারের জন্য স্টিলের কনটেইনার একটি ভুল পছন্দ হতে পারে। চলুন জানি কোন পাঁচটি খাবার কখনোই স্টিল কনটেইনারে রাখবেন না।
১. টমেটো
- টমেটো তে রয়েছে অ্যাসিড, যা স্টিলের সাথে মেশে গিয়ে খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে। স্টিলের কনটেইনারে টমেটো রাখলে তার রং বদলে যেতে পারে এবং খাবারের স্বাদ তিক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই টমেটো রাখার জন্য কাচের বটল বা প্লাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
২. ফলমূল
- ফলমূল স্টিলের কনটেইনারে রাখলে তার পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এছাড়া স্টিলের সঙ্গে মিশে গিয়ে ফলের স্বাদও পরিবর্তিত হতে পারে। বিশেষ করে সাইট্রাস ফল, যেমন কমলা, লেবু এবং আঙুর, এগুলোর অ্যাসিডিক প্রপার্টি স্টিলের সাথে মিশে গিয়ে তাদের স্বাদ ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের ফলগুলো কাচ বা প্লাস্টিকের কনটেইনারে রাখাই নিরাপদ।
৩. দুধ এবং দুধজাত খাবার
- দুধ বা দুধজাত খাবার যেমন দই, চিজ ইত্যাদি স্টিলের কনটেইনারে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। স্টিলের কনটেইনারে দুধ রাখা হলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং স্বাদেও তার পরিবর্তন ঘটতে পারে। দুধজাত খাবারের জন্য পলিপ্রোপাইলিন বা কাচের পাত্র ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
৪. মসলাযুক্ত খাবার
- মসলাযুক্ত খাবার যেমন মাংস বা তেল-মশলার ভর্তা স্টিলের কনটেইনারে সংরক্ষণ করলে তার স্বাদ এবং গন্ধ পরিবর্তিত হতে পারে। স্টিলের কনটেইনারে এসব খাবার রাখলে মসলার তীব্র গন্ধে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের খাবারের জন্য কাচের কনটেইনার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
৫. অম্লীয় খাবার
- অম্লীয় খাবার যেমন ভিনেগার, সয়া সস, অথবা লেবুর রসও স্টিলের কনটেইনারে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এগুলোর অ্যাসিডিক প্রভাব স্টিলের সাথে মিশে খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের ক্ষতি করতে পারে। এগুলো রাখার জন্য কাচ বা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা ভালো।
স্টিলের কনটেইনারে কিছু খাবার রাখলে খাবারের গুণগত মান এবং স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে। অ্যাসিডিক এবং তেলযুক্ত খাবারের ক্ষেত্রে স্টিলের রিঅ্যাকশন হতে পারে, যা খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, এসব খাবার সংরক্ষণের জন্য কাচ বা প্লাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করুন।
হ্যাপী