ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঈদের কেনাকাটায় শেষমুহুর্তে নজর এখন টুপি-আতরে 

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ৯ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের কেনাকাটায় শেষমুহুর্তে নজর এখন টুপি-আতরে 

আতর, টুপি ও জায়নামাজ

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এখন সুগন্ধি ও টুপির খোঁজে ব্যস্ত অনেকে। ঈদে পাঞ্জাবির সাথে মিলিয়ে টুপি ও পছন্দের সুবাস গায়ে মাখাতে ভিড় করছেন আতর-টুপির দোকানে। ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে খুঁজে নিচ্ছেন পছন্দের আতর। ঈদ আনন্দে আতর-টুপি ছড়িয়ে সেজে বসে আছে নগরের অলি-গলি ও ফুটপাত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত ও বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এখন সবার নজর আতর এবং টুপির দিকে। তাই শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা ভিড় করছেন আতর আর টুপির দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের হাতে পছন্দের টুপি, আতর, জায়নামাজ কিংবা তসবিহ তুলে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা।

ছোট ছোট দোকানে একটার পর একটা সাজানো রাখা হয়েছে বাহারি সব টুপি। ১০ বছরের ছেলে সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মৌচাক মার্কেটের আতর ও টুপি কিনতে আসেন রামপুরা এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন। 

তিনি জনকন্ঠকে বলেন, ‘ঘরের সবার জন্য জামা-কাপড়সহ অন্যান্য সব কেনাকাটা শেষ। তবে ঈদের জন্য নতুন করে টুপি এবং আতর কেনা বাকি ছিল। সেইগুলো কিনতে আজ ছেলেকে নিয়ে বের হয়েছি। পাশাপাশি জায়নামাজ দেখছি। পছন্দ হলে নিয়ে নিব।

নজর এখন বাহারি রঙের টুপিতে

রঙ-বেরঙের টুপিতেই নজর সব ক্রেতাদের। এছাড়া শিশুদের বেশ পছন্দের বিভিন্ন রঙের টুপি। অন্যদিকে বড়রা সাদা ও হালকা রঙের টুপিই বেশি পরেন। তাই বিক্রেতাদের ঘিরে বিভিন্ন ধরনের নকশার টুপি খুঁজতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।  

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিভিন্ন রঙের চায়না টুপি প্রতিটি ৬০ থেকে ১২০ টাকা, আল ফারুক টুপি ৮০ টাকা, ওমানি টুপি ১৬০ থেকে ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি চুমকি টুপি ২৮০ টাকা, সুলতানি টুপি ৩৭০ টাকা, ঢাকার নায়েম ক্যাপ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কম দামি টুপির মধ্যে কাপড়ের লম্বা টুপি মান ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, হাতে বোনা জালি টুপি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, ভারতের নেটের টুপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা ও প্লাস্টিকের টুপি ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ছোট বাচ্চাদের চুমকি, মখমল কাপড়ের টুপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই এলাকার টুপি বিক্রেতা আরাফাত হোসেন জিসান। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই টুপি কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় ছিল। বেচাবিক্রিও ভালো হয়েছে।  

 ভিড় আতরের দোকানেও

সুগন্ধি লাগানো মহানবীর (সা.) সুন্নত। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে ঈদগাহে যেতেন। তাই সব শ্রেণির মুসল্লি সুগন্ধি লাগানোকে সওয়াব মনে করেন। ঈদগাহে আতর লাগিয়ে যান। তাই বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান ঘুরে আতরের দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ফেরদাউস, খশ, মেশক আম্বার, কস্তুরি, মক্কা প্রভৃতি আতরের কদর আছে। ছোট এক শিশি সাধারণ আতর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। এসবের মধ্যে কিছু কিছু আতরের দাম প্রতি তোলা ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও রয়েছে।

এস

×