ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যালেন্টাইন্স ডে

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩; আপডেট: ২০:১৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভ্যালেন্টাইন্স ডে

ফাহিমা-ইমন

‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে/আমার নামটি লিখ তোমার/ মনের মন্দিরে’ ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ বা ‘সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হওয়া ভিনদেশী একটি উৎসব। যা সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক দুজন খ্রিস্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বর্তমানকালে, পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড কিনে এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান হয়।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান ১৯৯৩ সালে ভালোবাসা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই থেকে ধীরে ধীরে আমাদের দেশেও পালিত হতে থাকে। এখন তা রীতিমতো উৎসব। ভালোবাসা দিবস বলতেই সবাই ভেবে নেয়, এটি শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা’র জন্য। না, এ ভালোবাসা সবার জন্য। এই দিনে, বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষ তাদের প্রিয়জনকে বিভিন্ন রকম উপহার আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কারও মতে ভালোবাসার আবার আলাদা দিন কি। কারও মতে, থাকুক না একটা বিশেষ দিন।  এই দিবসের জন্য অনেকেই তার মনের না বলা কথার বহির্প্রকাশ ঘটায়। মাকে আমরা কখনোই বলতে পারি না- ‘মা, তোমায় খুব ভালোবাসি’। এই দিবসটি এই কথাটি বলা সহজ করে দেয়। তারপরও যারা ‘ভালোবাসি’ কথাটি বলতে পারেন না, তারা প্রিয় মানুষটিকে উপহার সামগ্রী দিয়ে তার নীরব বহির্প্রকাশ করতে পারেন।

তবে এখন পোশাকে এসেছে বৈচিত্র্য। শুধু লাল-হলুদ শাড়িই না, ওয়েস্টার্ন পোশাকও দখল করেছে আমাদের বাংলা সংস্কৃতিতে। একটা সময় ছিল, যখন বিশেষ দিনগুলোতে শাড়ি পরে মেয়েরা বাঙালি ললনা সাজতে খুব ভালোবসত। অন্য পোশাকগুলো তো অন্য সময়ও পড়া যায়। ছায়ানট এ বিষয়ে চমৎকার উদাহরণ রেখেছে। এখানে সব ক্লাসে আর অনুষ্ঠানে মেয়েরা সুতি শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরে বাঙালিয়ানার প্রকাশ ঘটায়। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে স্বদেশী সংস্কৃতিতে ভিনদেশী সংস্কৃতি জায়গা করে নিয়েছে। বিভিন্ন বুটিক শপগুলো এ সময় আয়োজন করে বাহারি রঙের পোশাক।

মাথায় ফুলের ব্যান্ড লাগিয়ে, হাত ভরা কাঁচের চুড়ি আর রঙিন পোশাক পরে বাংলার বুকে বসে ফুলপরিদের মেলা। বাংলা হয়ে যায় ফুলের রানি। আর বিশেষ দিনে বিশেষ উপহার শুধু কিনেই দিতে হবে তা নয়, আপনি নিজেও প্রিয় মানুষটির জন্য তৈরি করতে পারেন। তার প্রিয় কোনো খাবার রান্না করে খাওয়াতে পারেন। নিত্যদিনের সাধারণ খাবারটিও সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন প্রিয় মানুষটির সামনে। হলুদ ভালোবাসায় সহজ করে রাঙিয়ে নিন সুন্দর এই দিনটিকে।

×