ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ মৃদু হাসি দিবস

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ৭ অক্টোবর ২০২২

আজ মৃদু হাসি দিবস

মৃদু হাসির লোকদের অনেকেই শুধু হাসির জন্যই পছন্দ করেন

মানুষ তার আবেগ, অনুভূতি, সুখ ও দুঃখ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন। অনেক সময় আবার আবেগ ধরে রাখতে না পেরে আনন্দ প্রকাশে শব্দ করে অট্ট হাসি দিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ ফরমালিটি পালন করে এবং লাজুকভাবে মৃদু হাসি হেসে থাকেন। এভাবেই প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মৃদু হাসি দিবস। 

হাসি শুধু মনভারের উপশমই ঘটায় না, শরীরের জন্যও উপকারী। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ কথা আজ প্রমাণিত হাসি হার্ট ভালো রাখে। হাসি বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে- প্রাণখোলা হাসি, অট্টহাসি, উচ্ছল হাসি, মুচকি বা মৃদু হাসি। 

বিশ্ব হাসি দিবসে সারাবিশ্বে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যার সবগুলোই মানুষকে ভালো রাখতে ও অন্যদের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে করা হয়। মৃদু হাসির লোকদের অনেকেই শুধু হাসির জন্যই পছন্দ করেন। আর মৃদু হাসির কথা ভাবলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে ‘স্মাইলি’ ছবি বা ইমোজি। যা সদিচ্ছা ও আনন্দের একটি প্রতীক হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত।

জীবনের জন্য হাসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন হাসি তখন এন্ডোরফিন তৈরি হয়। এগুলো হলো নিউরোট্রান্সমিটার যা আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে। হাসিমুখের জন্য হলুদ রঙ কেন ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ, হলুদ হলো প্রফুল্লতার প্রতীক, তাই হাসিমুখের জন্য এর চেয়ে ভাল রঙ আর কী হতে পারে?

প্রতিবছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার উদ্‌যাপিত হয় ‘বিশ্ব মৃদু হাসি দিবস’। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, স্মাইলি ছবিটি কে এঁকেছেন!

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উয়ারস্টারের একজন বাণিজ্যিক চিত্রশিল্পী হার্ভি বল। স্মাইলি ফেইস, যাকে বাংলায় বলে মৃদু হাসির চেহারা, তিনি এঁকেছেন ১৯৬৩ সালে। সেই গোলাকার হলুদ রঙের চেহারা, দুটো গোল গোল চোখ ও একটি বক্র রেখার ঠোঁট যা হাসিকে নির্দেশ করে।

ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে ডটকম ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, দিন দিন তার মৃদু হাসির ছবিটার অতিরিক্ত বাণিজ্যিক ব্যবহারে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন হার্ভি বল। ছবিটার অনুকরণের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ছবি সৃষ্টিতে এর প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য হারিয়ে যাচ্ছে।

সেই শঙ্কা থেকেই বিশ্ব মৃদু হাসি দিবসের ধারণাটা এসেছে। হার্ভি বল ভেবেছিলেন যে, বছরের একটি দিন আমাদের উৎসর্গ করা উচিত মৃদু হাসির জন্য। মৃদু হাসি বোঝে না কোনো রাজনীতি, এলাকা ও ধর্ম। তিনি ঘোষণা দেন যে, প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম শুক্রবার বিশ্ব মৃদু হাসি দিবস হিসেবে পালিত হবে।

১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো উদ্‌যাপিত হয় বিশ্ব মৃদু হাসি দিবস। এরপর থেকে তা প্রতিনিয়ত পালিত হচ্ছে এর উৎপত্তিস্থল উয়ারস্টার, ম্যাসাচুসেটসসহ সারা বিশ্বে।

ষ্টিভ বলের শহর উয়ারস্টারে দিনটি পালিত হয় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এমনকি স্মাইল সার্টিফিকেট বা মৃদু হাসি সনদ দেওয়া হয় স্থানীয়দের। এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব হাসির চেহারা, বেলুন উড্ডয়ন, কনসার্ট, সার্কাস অনুষ্ঠান, মৃদু হাসির প্রতিযোগিতাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানে।

হার্ভি ২০০১ সালে এই পৃথিবী থেকে চলে যান। কিন্তু তিনি যে ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন সেটি হলো- হার্ভে বল ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশটি প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবসের পৃষ্ঠপোষকতা করে।

 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×