ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

এবার কী রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে নামলো যুক্তরাষ্ট্র?

প্রকাশিত: ২২:২০, ৫ আগস্ট ২০২৫

এবার কী রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে নামলো যুক্তরাষ্ট্র?

ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের "অপরাজেয়" প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির একের পর এক পতন ঘটাচ্ছে রাশিয়া। প্যাট্রিয়ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পশ্চিমা অস্ত্র সিস্টেম ইউক্রেন যুদ্ধে কার্যকারিতা হারিয়েছে। রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারছে না কোনো পশ্চিমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

ইউক্রেনের আকাশে রুশ ড্রোন দেখলেই আতঙ্কিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রুশ ট্যাংক, সাবমেরিন ও সাইবার হামলায় চাপে কিয়েভ। কেবল প্রতিরোধ নয়, রাশিয়া পুরো অঞ্চলজুড়ে নতুন ক্ষমতার ভারসাম্য গড়ে তুলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পেন্টাগনের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এটি আর শুধুই ইউক্রেন যুদ্ধ নয় — বরং শুরু হয়েছে রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার নতুন অধ্যায়।

পুতিন গড়েছেন এক ভয়ংকর ত্রিভুজ: চীন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। এই তিন দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ছে রেকর্ড গতিতে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি হতে পারে আমেরিকার দীর্ঘদিনের একচ্ছত্র আধিপত্যের পতনের শুরু।

ট্রাম্পের শান্তি আশ্বাস ব্যর্থ, এবার সরাসরি পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র! যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ইউক্রেনকে ব্যবহার করে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে, কিন্তু যুদ্ধের বাস্তবতায় উল্টো ইউক্রেনই আজ বিধ্বস্ত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সময় বলেছিলেন, শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। কিন্তু এখন তিনি নিজেই পুতিনকে থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মস্কোর দাবি — দখলকৃত অঞ্চল হস্তান্তর ও ন্যাটো সদস্যপদ প্রত্যাখ্যানই শান্তির শর্ত। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একপ্রকার সরাসরি যুদ্ধে নেমেছে আমেরিকা। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বজায় রাখলে চীন ও ভারতকেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ হুঁশিয়ার করেছেন — এ পদক্ষেপগুলো হবে মস্কোর বিরুদ্ধে আমেরিকার সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান।

রাশিয়ার সমুদ্র অঞ্চলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের। ন্যাটো প্রধানও সতর্ক করেছেন — ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে পারে ন্যাটোর দেশগুলো, যা হয়তো ঠেলে দেবে বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে।

নুসরাত

×