ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে যেসব কথা কখনো বলবেন না

প্রকাশিত: ০০:৫১, ৬ আগস্ট ২০২৫

বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে যেসব কথা কখনো বলবেন না

ছবিঃ সংগৃহীত

বন্ধুত্ব জীবনের অন্যতম মূল্যবান সম্পর্ক। কাজের চাপ, পারিবারিক টানাপড়েন বা জীবনের নানা ওঠানামার মধ্যে বন্ধুরা হয়ে ওঠে মানসিক ভরসার জায়গা। তবে যতটা সহজে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যত্ন না নিলে ঠিক ততটাই সহজে সেটি নষ্টও হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় আমরা না বুঝেই বন্ধুদের সঙ্গে এমন কিছু কথা বলে ফেলি, যা সম্পর্কের গভীরে আঘাত করে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি কথা বা মন্তব্য, যা বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে কখনোই বলা উচিত নয়—

১. “তুমি তো সবসময় এ রকমই করো”
এই ধরনের অভিযোগ মূলত ব্যক্তিত্বে আঘাত করে। বারবার পুরনো ভুল মনে করিয়ে দেওয়া বা চরিত্র বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য বন্ধুর আত্মসম্মানে আঘাত হানে এবং দূরত্ব তৈরি করে।

২. “তোমার সময় নেই কখনো”
বন্ধুর সময় না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতে পারেন, তবে উপহাস বা কটাক্ষ করলে সে আড়ালে সরে যেতে বাধ্য। কেউ ব্যস্ত থাকতেই পারে—তাকে সময় ও স্পেস দেওয়াই পরিণত বন্ধুত্বের লক্ষণ।

৩. “তোমার ওই বন্ধুকে আমি একদম পছন্দ করি না”
বন্ধুর আরেকজন বন্ধুকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা অনেক সময় আপনাকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করে। এতে বন্ধুর মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয় এবং সম্পর্কের স্বাভাবিকতা নষ্ট হতে পারে।

৪. “তোমার জীবন তো পারফেক্ট, তোমার কোনো সমস্যা নেই”
এই কথাটি হালকা মনে হলেও, এটি বন্ধুদের যন্ত্রণাকে অবমূল্যায়ন করে। প্রত্যেকেই নিজের জায়গা থেকে সংগ্রাম করে, আর বন্ধুত্ব মানেই হলো সেই সংগ্রামকে শ্রদ্ধা ও সমর্থন জানানো।

৫. “আমার দরকারের সময় তুমি কোথায় ছিলে?”
এটি বললে বন্ধুর মধ্যে অপরাধবোধ তৈরি হয়। কোনো অভিমান থাকলে খোলাখুলিভাবে বলা উচিত, কিন্তু দোষারোপের ভঙ্গিতে নয়। কারণ, দোষারোপ বন্ধুত্বের মধ্যে নেতিবাচকতার জন্ম দেয়।

🔍 মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ:
বিশেষজ্ঞদের মতে, “বন্ধুত্বে খোলামেলা আলোচনা জরুরি, কিন্তু সেটা হতে হবে সম্মান ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে।” কথার ভাষা ও ভঙ্গি ঠিক না হলে, সম্পর্কের গভীরতায় চিড় ধরতে বেশি সময় লাগে না।

📌 শেষ কথা:
বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে শুধু একসঙ্গে সময় কাটানো নয়, দরকার পারস্পরিক সম্মান, সহানুভূতি ও যত্ন। কথায় আছে, “ভালো বন্ধু পাওয়া সৌভাগ্য, আর সেটা ধরে রাখা একটা দায়িত্ব।”

আলীম

×