
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড় মজবুত রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মন ভালো রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হলেও, ব্যস্ত জীবনে অনেকে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পান না। সেক্ষেত্রে কিছু খাবার থেকেই ভিটামিন ডি সংগ্রহ করা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই এমন ৭টি খাবারের কথা, যেগুলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি-এর প্রাচুর্য।
১. স্যামন মাছ
স্যামন মাছকে বলা হয় ভিটামিন ডি-এর ভাণ্ডার। প্রতি ১০০ গ্রাম রান্না করা স্যামন মাছে প্রায় ৫৭০ IU ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী।
২. টুনা মাছ
টিনজাত টুনা মাছও ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস। এটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিনের স্যালাড বা স্যান্ডউইচে টুনা যোগ করলেই মিলবে উপকার।
৩. ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি থাকে, যদিও সাদা অংশে থাকে না। যারা মাছ খান না, তাদের জন্য এটি একটি বিকল্প হতে পারে। তবে অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. ভিটামিন ডি-ফর্টিফায়েড দুগ্ধজাত পণ্য
অনেক দেশে দুধ, দই ও মাখনের সঙ্গে বাড়তি ভিটামিন ডি মেশানো হয়। এমন প্যাকেটজাত খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে সহজেই ঘাটতি পূরণ সম্ভব।
৫. ফোরটিফায়েড সিরিয়াল
অনেক ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে এখন ভিটামিন ডি যোগ করা হয়। সকালের নাশতায় এই সিরিয়াল খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পৌঁছে যায়।
৬. সারডিন মাছ
ছোট আকারের হলেও সারডিন ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস। এটি ক্যানজাত অবস্থায় বাজারে সহজে পাওয়া যায় এবং রান্না করাও সহজ।
৭. সূর্যালোক গ্রহণে চাষ করা মাশরুম
মাশরুম প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে পারে, বিশেষ করে যেগুলো সূর্যালোকের সংস্পর্শে বড় হয়েছে। রান্নায় মাশরুম নিয়মিত যোগ করলেও উপকার মিলবে।
যদি আপনি নিয়মিত সূর্যস্নান না করেন বা আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়, তবে এসব খাবার অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করতে পারেন।
আঁখি