
ছবি : সংগৃহীত
ঘুম শরীর ও মস্তিষ্কের বিশ্রামের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অনেকে আছেন, যারা রাতে বিছানায় গেলেও চোখে ঘুম আসে না। ঘুমের জন্য বিছানায় গড়াগড়ি করেন, অথচ রাত কেটে যায়—ঘুম আসে না। এতে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে, মানসিক অশান্তিও বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম না আসার পেছনে লাইফস্টাইল ও অভ্যাসগত কিছু কারণ রয়েছে। তবে কিছু সহজ অভ্যাস বদলেই মিলতে পারে প্রশান্তির ঘুম।
কেন ঘুম আসে না?
ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা হতে পারে মানসিক চাপ, মোবাইল আসক্তি, অনিয়মিত ঘুমের রুটিন, রাতে ভারী খাবার খাওয়া কিংবা ঘুমানোর ঠিক আগে ক্যাফেইন গ্রহণ করার কারণে। আবার কেউ কেউ ঘুমাতে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত চিন্তায় ডুবে যান, যেটা ঘুমের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ঘুম আসাতে যা করতে পারেন
✅ একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ুন:
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে গেলে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ঘুম সহজে আসে।
✅ মোবাইল থেকে দূরে থাকুন:
ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল, টিভি বা ল্যাপটপ স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। স্ক্রিনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাধাগ্রস্ত করে, যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়।
✅ রাতের খাবার হালকা খান:
ভারি ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে হজমে সমস্যা হয় এবং ঘুম ব্যাহত হতে পারে।
✅ হালকা গান বা বই পড়া:
শোবার আগে শান্ত সুরের গান শোনা বা হালকা বই পড়া ঘুম আনতে সাহায্য করে।
✅ মেডিটেশন বা শ্বাসপ্রশ্বাস অনুশীলন:
“৪-৭-৮” শ্বাসপ্রশ্বাস কৌশলটি প্রয়োগ করতে পারেন—৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন, ৮ সেকেন্ডে ছাড়ুন। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত করে।
✅ ঘরের আলো কমিয়ে দিন:
অন্ধকার পরিবেশ মস্তিষ্ককে ঘুমের সংকেত দেয়।
✅ উষ্ণ দুধ বা ক্যাফেইনবিহীন চা পান করুন:
এক গ্লাস গরম দুধ বা ক্যামোমাইল চা ঘুমের জন্য কার্যকর।
যা এড়িয়ে চলবেন
🔹 ঘুমানোর আগে চা-কফি
🔹 বিছানায় শুয়ে ফোন চালানো
🔹 রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া
🔹 ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা
ঘুমের অভাব দীর্ঘমেয়াদে হার্ট, ব্রেন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন এনে নিয়মিত গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুম না আসা যদি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আজ থেকেই বদল আনুন ঘুমের অভ্যাসে। তাহলেই আসবে প্রশান্তি ও সতেজ সকাল।
Mily