
ছবি: সংগৃহীত।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি কৃষিপণ্য বাজারে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছে, যিনি পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে থাই পুলিশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) ব্যাংক স্যু জেলার ওই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার চারিন গোপাট্তা বলেন, "ঘটনায় মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী নিজের জীবন নিজেই নিয়ে নেয়।"
পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহত পাঁচজনই বাজারের নিরাপত্তাকর্মী। বর্তমানে হামলাকারীর পরিচয় এবং হামলার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
ব্যাংক স্যু জেলার পুলিশ কর্মকর্তা সানং সেংমানি জানান, এ ঘটনায় কোনো বিদেশি পর্যটক নিহত বা আহত হননি। তিনি বলেন, "বাজারটি মূলত কৃষিজ পণ্য বিক্রির জন্য পরিচিত।"
থাইল্যান্ডে পর্যটন খাত জাতীয় অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে গত কয়েক বছর ধরে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি চলছে। এ ধরনের সহিংস ঘটনা দেশটির পর্যটন ও বিনিয়োগ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সাদা টুপি পরে ও বুকে একটি ব্যাকপ্যাক ঝুলিয়ে বাজারের পার্কিং লটে হাঁটছেন।
থাইল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা ও ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখা তুলনামূলক সাধারণ ঘটনা। এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল শপিং মলে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর একটি পরিবর্তিত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুইজনকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করে।
এরও এক বছর আগে, এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা পূর্ব থাইল্যান্ডের একটি নার্সারিতে বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ২২ শিশু সহ মোট ৩৬ জনকে হত্যা করেন।
পুলিশ এই সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
মিরাজ খান