
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সব জনগণকে দক্ষিণের রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর একটি নতুন ‘মানবিক শহরে’ স্থানান্তরের জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সোমবার এই পরিকল্পনার খবর প্রকাশ করে ইসরাইলি গণমাধ্যম, যা বুধবার (৯ জুলাই) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।
কাটজ জানান, প্রথম ধাপে আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে উৎখাত হওয়া প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে ওই শিবিরে স্থানান্তর করা হবে এবং পরে পুরো গাজার প্রায় ২১ লাখ মানুষকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিবিরে প্রবেশের আগে প্রত্যেক ফিলিস্তিনিকে স্ক্যানের মধ্য দিয়ে যাচাই করা হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হামাসের সদস্য নন। একবার শিবিরে প্রবেশ করলে তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি থাকবে না এবং গাজার সকল বাসিন্দাকে এই এলাকায় আটকে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরের যে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন, সেটি বাস্তবায়নে নিজেকে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন কাটজ। একই বিষয়ে ওয়াশিংটনে সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় এমন দেশ খোঁজা হচ্ছে যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ নিশ্চিত করতে পারে, এবং ইতোমধ্যে কিছু দেশের কাছ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি অনুকূল হলে ইসরাইল ও হামাসের সম্ভাব্য ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়ের মধ্যেই শিবির নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে জাতিসংঘ আগেই সতর্ক করেছে, দখলীকৃত কোনো ভূখণ্ডের নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এ নিয়ে এখনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাস কোনো মন্তব্য করেনি।
শিহাব