
সংগৃহীত
ইরান নতুন করে বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। দেশটির প্রেসিডেন্ট একটি আইন অনুমোদন করেছেন, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা—IAEA’র (International Atomic Energy Agency) সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) স্থানীয় সময় সকালে আইনটি কার্যকর হয়। এর ফলে IAEA কর্মকর্তারা আর ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো পর্যবেক্ষণ বা তদারকি করতে পারবেন না।
তেহরান বলছে, এই পদক্ষেপ "আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সার্বভৌম অবস্থান গ্রহণের অংশ"। ইরান দাবি করেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ, ইরানের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন।
IAEA-এর সহায়তা ছাড়া ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম কতটা নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত, তা যাচাই করা কঠিন হয়ে যাবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপ পরোক্ষভাবে ইসরায়েলসহ অন্যান্য দেশের প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে।
জাতিসংঘ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে।
ইরানের এই সিদ্ধান্ত শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতির জন্য এক অশনিসংকেত হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দেশটি নিজের অবস্থান আরও কঠিন করে তুলছে। প্রশ্ন উঠছে "এই পদক্ষেপ কেবল প্রতিরক্ষা নাকি নতুন কোনো উত্তপ্ত সংঘাতের ইঙ্গিত?"
হ্যাপী