
ইরান ইন্টারন্যাশনাল পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসির ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাকে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়েও বিবেচনা করছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গত মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর জাতিসংঘের এই পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার (IAEA) সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হওয়ায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান IAEA-র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে একটি আইনে সই করেছেন।
বুধবার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এক প্রতিবেদনে জানায়, "মাসউদ পেজেশকিয়ান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের আইনে স্বাক্ষর করেছেন।"
এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ১৩ জুন ইসরায়েলের আকস্মিক হামলা এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি।
পার্লামেন্টের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে IAEA-র পরিদর্শকরা ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারবে না।
IAEA এক বিবৃতিতে জানায়, "আমরা এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে অবগত। আমরা ইরানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছি।"
আরও জানানো হয়, ১২ জুন IAEA বোর্ডের এক প্রস্তাবে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়, যা ইসরায়েলের হামলার “অজুহাত” হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করছেন।
আরও জানানো হয়, ১২ জুন IAEA বোর্ডের এক প্রস্তাবে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়, যা ইসরায়েলের হামলার “অজুহাত” হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করছেন।
সানজানা