
সংগৃহীত
বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিমের হৃদয়ে এক নিকৃষ্ট আঘাত হয়ে এসেছে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের খবর। নবিজির প্রতি এই অকৃত্রিম অবমাননা মুসলিম বিশ্বকে একজোট হয়ে প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ইস্তানবুলের প্রধান কৌঁসুলি লেমান ম্যাগাজিনের সম্পাদকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর। অভিযোগ, ম্যাগাজিনটির গত ২৬ জুন, ২০২৫ সংখ্যায় একটি কার্টুনে ধর্মীয় মূল্যবোধকে অপমান করা হয়েছে।
তুরস্কে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে মহানবী (সা.)-এর সম্মান রক্ষায় কণ্ঠ তুলেছেন। সবার মুখে একটি মাত্র দাবি — “রাসুলের অপমান মেনে নেওয়া হবে না”।
মুসলিমদের জন্য মহানবী (সা.) কেবল একজন নেতা নন, তিনি স্নেহ, মায়া ও ইমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ শুধু ব্যঙ্গ নয়, বরং তাদের বিশ্বাস ও আত্মসম্মানের প্রতি এক ধাপ অমানবিক আঘাত।
এই আঘাত যেন মুসলিম হৃদয় থেকে এক একটি টুকরো কেড়ে নিচ্ছে।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে শুরু করে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ঢেউ। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের জোরালো স্লোগান দিয়েছে, যার মূল বক্তব্য হলো—“আমরা মহানবির সঙ্গী, আমরা তার সম্মান রক্ষা করবো”।
সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করা হয়েছে।
যদিও অনেকেই রাস্তায় প্রতিবাদ করছেন, তবে এই সংকটে শান্তি, সংহতি ও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় রাখা সকলের জন্যই অপরিহার্য। ইসলামের শিক্ষা হলো ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতা, সেই সুরক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মীয় ও সমাজকর্মীরা।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ে এক বিরাট ক্ষত করে দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুরস্কসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজের ক্ষোভ ও বেদনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এখানে শুধু প্রতিবাদের কথা নয়, বরং একতার বার্তাও রয়েছে — মহানবির সম্মান রক্ষার জন্য সবার একসঙ্গে দাঁড়ানোর আহ্বান।
আমাদের সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ রক্ষায় প্রত্যেকের দায়িত্ব। কারণ মহানবী (সা.) আমাদের হৃদয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ — তাকে অবমাননা মানে আমাদের অস্তিত্বের প্রতি আঘাত।
হ্যাপী