
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনার খবর এসেছে, যার মূল ফোকাস হচ্ছে নিরাপত্তা-তথ্য বিনিময় ও আস্থা গড়ে তোলা ।
এই আলোচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র মুখ্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করছে, উত্তরণে রয়েছে ‘অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ড’ প্রসারিত করার পরিকল্পনা—যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সর্বপ্রথম ইসরায়েলিসহ চুক্তি করেছিল ২০২০ সালে ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুতই সিরিয়ার ওপর থেকে বহু নিষেধাজ্ঞা এক্সিকিউটিভ অর্ডারে তুলে নিয়েছেন, যা নতুন সরকারকে বিশ্বে স্বীকৃতির পথ সুগম করছে । ট্রাম্প রিয়াদ সফরে আহমদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে সিরিয়াকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার উদ্বুদ্ধ করেন ।
ইসরায়েল স্পষ্ট জানিয়েছে যে, “গোলান মালভূমি” তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে—চুক্তির অংশ হতে পারে না। সিরিয়া নির্দিষ্টভাবে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তি চাইছে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতির সমঝোতা লাইনে ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য ।
সিরীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক রবিন ইয়াসিন-কাসাব মনে করেন, সিরীয় জনগণ যুদ্ধের ক্লান্ত—তাদের কাছে এভাবে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুদ্ধার করাই বাস্তবসম্মত উপায় ।
তবে গোলান নিয়ে আলোচনা এখনও শুরু হয়নি, এবং সভাগুলো এখনও সীমাবদ্ধ নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ—রাজনৈতিক বিষয় চূড়ান্ত হয়নি ।
সিরিয়া ও ইসরায়েলের প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনাপূর্ণ বিষয়টি একটি বড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ। অগ্রগতির শর্ত হলো গোলান মালভূমি—এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সমাধান না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকরা এখন চাইছেন আগামী মাসগুলোতে ‘বেইজিক ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি হোক—নিরাপত্তা, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও কূটনৈতিক স্বীকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে চুক্তির ভিত্তি স্থাপন হতে পারে। আলোচনাটি এখনও শুরুর পর্যায়ে, তবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ম্যাপে এটি এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।
ফারুক