
ছবি: সংগৃহীত।
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস জানিয়েছেন, ফেসবুক ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ নিজের সম্পদের ৯০ শতাংশের বেশি দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তিনি ইতিমধ্যে তা শুরু করে দিয়েছেন।
বিল গেটস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “জাকারবার্গ ভালোভাবেই দান করার কাজ শুরু করেছেন।” তিনি আরও জানান, জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের তৈরি চ্যান-জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ ইতিমধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান খাতে কাজ করছে।
এর আগেও ২০১৫ সালে জাকারবার্গ ও প্রিসিলা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তারা জীবিত থাকাকালীন নিজেদের ফেসবুক শেয়ারের ৯৯% দান করবেন।
গেটস বলেন, এখন অনেক তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাই বড় অঙ্কের দান করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ‘গিভিং প্লেজ’ নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছেন গেটস, যেখানে ধনীরা প্রতিশ্রুতি দেন তাদের বেশিরভাগ সম্পদ দান করার। এই তালিকায় জাকারবার্গসহ অনেকেই আছেন।
নিজের ফাউন্ডেশন নিয়েও গেটস বলেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ২০৪৫ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ, তিনি জীবদ্দশাতেই এর প্রভাব দেখতে চান এবং তিনি যেই উদ্যোগগুলো নিয়েছিলেন তা দ্রুত শেষ করতে চান।
সবশেষে গেটস জানান, ২০২৫ সাল তার জীবনে বিশেষ এক বছর হবে—সে বছর তার বয়স হবে ৭০, মাইক্রোসফটের বয়স হবে ৫০ এবং ফাউন্ডেশনের বয়স হবে ২৫ বছর। এছাড়া, তিনি তার প্রয়াত বাবাকেও স্মরণ করেন, যিনি ফাউন্ডেশন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, এখনকার ধনী প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা আর জীবনশেষে নয়—জীবিত অবস্থায়ই দান করে সমাজে পরিবর্তন আনতে চাইছেন।
নুসরাত