ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সিএনএন এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়াবহ গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১১ মে ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫৮, ১১ মে ২০২৫

সিএনএন এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়াবহ গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হামলা ও সামরিক তৎপরতায় দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে একটি গোপন, কিন্তু ভয়াবহ গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কৌশলী ও ত্বরিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই পদক্ষেপের পেছনে ছিল মার্কিন প্রশাসনের কৌশলগত চাপ এবং শান্তিপূর্ণ বিকল্প পথের প্রতি আহ্বান।

শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র কিছু ‘উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক’ গোয়েন্দা তথ্য পায়, যা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনাকে ঘিরে বড় ধরনের হুমকির ইঙ্গিত দেয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবহিত করেন এবং এরপর সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদিকে তিনি সাফ জানান যে হোয়াইট হাউসের ধারণা অনুযায়ী, চলমান সংঘাত যদি থামানো না হয়, তবে তা মারাত্মক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। তিনি মোদিকে উৎসাহ দেন যেন পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে উত্তেজনা কমানোর পথ খোঁজা হয়। মার্কিন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য ছিল—দুই পক্ষের মাঝে আলোচনার পথ খুলে দেওয়া এবং সামরিক সংঘাতকে কূটনৈতিক সমাধানে রূপান্তর করা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা—যেমন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস—ঘনিষ্ঠভাবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরপরই মার্কিন কূটনীতিকরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাতভর যোগাযোগ রাখেন এবং একইভাবে পাকিস্তানের পক্ষের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যান।

সিএনএনের তথ্যমতে, মোদির সঙ্গে ভ্যান্সের ফোনালাপ ছিল এই পুরো প্রক্রিয়ার একটি মোড়ঘোরা মুহূর্ত। এমনকি যুদ্ধবিরতির চুক্তির খসড়ায় যুক্ত না থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলী ভূমিকা দুই পক্ষকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনার পথ সুগম করে।

এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক কূটনীতির একটি ইতিবাচক অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশ্ব এখন অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, তবে সবার চোখ এখন দুই দেশের ভবিষ্যত পদক্ষেপের দিকে। গোয়েন্দা তথ্যের গুরুত্ব, দ্রুত আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ, এবং আস্থার সম্পর্কের ভিত্তিতে মোদির সঙ্গে ভ্যান্সের ফলপ্রসূ আলাপ—সবকিছু মিলিয়ে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে একটি সময়োপযোগী এবং কার্যকর কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকটে এমন উদ্যোগ কূটনীতির শক্তিকে আরও দৃঢ় করবে।

সূত্র : সিএনএন

ফুয়াদ

×