
ছবি: সংগৃহীত।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম জনপ্রিয় সদস্য ছিলেন প্রিন্সেস ডায়না, যিনি শুধু রাজপরিবারের পুত্রবধূ ছিলেন না, বরং সমগ্র বিশ্ববাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। "জনগণের রাজকন্যা" নামে পরিচিত ডায়না ছিলেন দয়া, কমনীয়তা ও মানবতার প্রতীক। কিন্তু তার জীবন যেমন আলোয় ভরা ছিল, তেমনি তার মৃত্যু আজও রহস্যে ঘেরা।
১৯৯৭ সালের ৩০শে আগস্ট প্যারিসের একটি টানেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রিন্সেস ডায়নার। তার সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন প্রেমিক, মিশরীয় ব্যবসায়ী দোদি আল-ফায়েদ। গাড়ির চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান, আর গুরুতর আহত ডায়না কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুরু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল যে এটি শুধুই একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
সম্প্রতি, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫-এর এক সাবেক কর্মকর্তা জন হপকিন্স তার জীবনের অন্তিম সময়ে এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হপকিন্স জানান, রাজপরিবারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশ এসেছিল ডায়নাকে সরিয়ে দিতে, কারণ তিনি রাজপরিবারের গোপন অনেক তথ্য জানতেন এবং তা ফাঁস করার সম্ভাবনা ছিল।
৮০ বছর বয়সী এই সাবেক গোয়েন্দা আরও বলেন, "আমি এর আগে কখনো কোনো নারীকে হত্যা করিনি। কিন্তু আমি শুধু আদেশ পালন করেছি—রানী এবং দেশের জন্য।" তিনি জানান, রাজপরিবার চেয়েছিল, এটি যেন সাধারণ একটি দুর্ঘটনা বলে মনে হয়।
প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বহু বছর ধরে আলোচিত হলেও জন হপকিন্সের এই বক্তব্য আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দিয়েছে এই রহস্যময় ঘটনা। তার এই স্বীকারোক্তির পর বিশ্বজুড়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে—প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু কি সত্যিই দুর্ঘটনা ছিল, নাকি এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যা?
আপনার মতামত কী? এটি কি শুধুই কাকতালীয় দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে সত্যিই কোনো গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে?
নুসরাত