
সংগৃহীত
ঘরে বসে অফিস, অনলাইন ক্লাস, ভিডিও দেখা বা গেম খেলা—এখন জীবনের প্রতিটি ধাপে দরকার দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। এমন এক সময়েই সরকার ঘোষণা করল মাত্র ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সুবিধা!
শুনতে যতটা আনন্দের, বাস্তবে ততটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আসলে কি গ্রাহকরা এই গতি পাচ্ছেন? নাকি প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার মাঝে রয়েছে বিশাল ফারাক?
প্রতিশ্রুতি ছিল—“সবার জন্য সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড”২০২১ সালে সরকার এবং ব্রডব্যান্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (ISP) যৌথভাবে নির্ধারণ করে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ রেট।
- ৫০০ টাকায় ১০ Mbps
- ৮০০ টাকায় ২০ Mbps
- ১২০০ টাকায় ৩০ Mbps
লক্ষ্য ছিল—গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবাই যেন একই মূল্যে নির্ধারিত ইন্টারনেট গতি পান। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
শহরে আর গ্রামে কি একই গতি?
ঢাকার বনশ্রী এলাকার এক গ্রাহক জানান,“প্রতি মাসে ৫০০ টাকা দিচ্ছি। কিন্তু স্পিড টেস্ট করলে ৩-৪ Mbps-ই আসে। রাতে ইউটিউব দেখতেও বাফারিং হয়।”
অন্যদিকে কুড়িগ্রামের এক তরুণ জানান,“আমাদের এখানে কেবল কানেকশন পুরোনো। গতি কখনোই ৫ Mbps ছাড়ায় না।”
অনেকে অভিযোগ করছেন—ISP গুলো “আপ টু ১০ Mbps” বলেই দায় এড়ায়। অর্থাৎ গতি সর্বোচ্চ ১০ Mbps হতে পারে, কিন্তু তার নিশ্চয়তা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতি কম হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে:
- লোকাল নেটওয়ার্ক দুর্বল
- এক কানেকশনে একাধিক ডিভাইস
- সস্তা রাউটার
- ISP-এর শেয়ারড ব্যান্ডউইথ
তবে এটাও ঠিক, অনেক সময় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবেই সর্বোচ্চ গতি দেয় না।
করণীয় কী?
- স্পিড টেস্ট করুন: Ookla বা Fast দিয়ে স্পিড যাচাই করুন
- লিখিত চুক্তি নিন: প্যাকেজ সম্পর্কে প্রমাণ রাখুন
- ভালো রাউটার ব্যবহার করুন
- ISP-এর রেটিং ও রিভিউ যাচাই করুন
৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস এটি সম্ভাবনার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু প্রতিটি গ্রাহক যদি প্রাপ্য গতি না পান, তবে সেটি হবে শুধুই কাগুজে সুবিধা।সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য দরকার স্বচ্ছতা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রাহকের অধিকার রক্ষা।
হ্যাপী