আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে যে কোনো সময় ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসের রিপোর্টের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যে কোনো সময় ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান ও হিজবুল্লাহ। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিশ্বের সাত শিল্পোন্নত দেশের জোট জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কনফারেন্স করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে এই সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান ও হিজবুল্লাহর আক্রমণ যে কোনো সময় শুরু হতে পারে। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন তিনটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে অ্যাক্সিওস। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য নিয়ে গঠিত জি-৭।
এই সব দেশগুলোই মার্কিন মিত্র। মূলত ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে যতটা সম্ভব ইসরাইলের ওপর ইরান ও হিজবুল্লাহর প্রতিশোধের মাত্রা কমিয়ে আনতে শেষ মুহূর্তের কূটনৈতিক চাপ তৈরি করার চেষ্টা করার জন্য তিনি এই বৈঠক করেছেন। তাদের হামলার মাত্রা সীমিত করাকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানোর সর্বোত্তম সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে টাইমস অব ইসরাইল বলেছে, ইসরাইলে হামলা প্রতিরোধ করতে আগেভাগেই ইরানে হামলার অনুমোদন দিতে পারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার।
যেকোন সময় প্রতিশোধমূলক হামলায় চালাবে ইরান। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় এগিয়ে এসেছে জর্ডান। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে ইরানকে শান্ত থাকতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। কারণ ইরান আগ বাড়িয়ে হামলা না করলে আপাতত যুদ্ধটা এড়ানো সম্ভব হবে। দ্য উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ইরান সফর করেছেন।
দুই দশকের মধ্যে এ প্রথম জর্ডানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরান গেলেন। তিনি ইরানকে প্রতিশোধমূলক হামলা না করতে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানকে পশ্চিমাদের মিত্র হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রতিনিয়ত সেখানে বিক্ষোভ হচ্ছে। তারা জর্ডানের রাষ্ট্রীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।