ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল

ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২৫ জুন ২০২৪

ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ফিলিস্তিনি শিশুরা ক্ষুধার জ্বালায় কান্না করছে

দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে গাজা। সেখানে ৪ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকও সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে একদিকে খাবার নিয়ে ত্রাণবাহী গাড়ি অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে তীব্র ক্ষুধায় ছটফট করছে গাজার ছোট ছোট শিশু, নারী, পুরুষ এবং বয়স্ক লোকজন। ত্রাণসামগ্রী নিতে যাওয়া লোকজনের ওপরও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এমনকি ত্রাণবাহী গাড়ি, বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থাও হামলার শিকার হচ্ছে। 
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে তিনটি পৃথক স্থানে এই হামলা হয়েছে। গাজার দুটি স্কুলে বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার উত্তর গাজায় আল শাতি ক্যাম্পে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইলি হানিয়ার বোনসহ পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকে করে খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি নিয়ে অপেক্ষায় থাকার পরেও শিশুরা অপুষ্টি এবং পানি শূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ইসরাইলের ক্রমাগত হামলায় ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ সহায়তায়ও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। 
প্রায় ৮ মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছে। এই পুরোটা সময়ের মধ্যে কয়েকবার মাত্র ত্রাণবাহী গাড়ি গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। বাইরে থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় এবং ক্রমাগত হামলা চলতে থাকায় গাজায় ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট শিশুরা খাবারের অভাবে এবং তীব্র পুষ্টিহীনতায় মারা যাচ্ছে। 
একদিকে দফায় দফায় বোমা হামলা অন্যদিকে খাদ্য সংকট, বাসস্থানের সংকট, একটু মাথা গোজার নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব সবকিছু মিলিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই।

×