ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

নিহত ১০, ৩০ বাংলাদেশিসহ ৫১ অভিবাসী ইতালি উপকূল থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৮ জুন ২০২৪

নিহত ১০, ৩০ বাংলাদেশিসহ ৫১ অভিবাসী ইতালি উপকূল থেকে উদ্ধার

গ্যাসোলিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় ১০ অভিবাসী মারা গেছেন

লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসী নিয়ে যাত্রা করা একটি কাঠের নৌকায় গ্যাসোলিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় ১০ অভিবাসী মারা গেছেন। লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা করা নৌকাটি সোমবার (১৭ জুন) ভোরে ইটালির লাম্পেদুসা উপকূল থেকে ৪০ মাইল (৬০ কিলোমিটার) পশ্চিমে এসে ঝুঁকিতে পড়ে যায়। 


জার্মান এনজিও রেসকিউশিপের বরাতে সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউরোপে অভিবাসন বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টস।

ইনফোমাইগ্রেন্টস জানায়, ভূমধ্যসাগরের সক্রিয় সংস্থা এলার্ম ফোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে নৌকায় থাকা ব্যক্তিদের মাল্টা উপকূলে অবস্থিত সার্চ এন্ড রেসকিউ জোন থেকে উদ্ধার করে জার্মান এনজিও রেসকিউশিপের মানবিক উদ্ধার জাহাজ ‘নাডির’। 

রেসকিউশিপের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্টিফেন সেফার্ট সোমবার ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, “আমরা যখন নৌকাটি খুঁজে পেয়েছিলাম তখন বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল।” 

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমাদের উদ্ধারকর্মীরা প্রথমে উপরের ডেকে থাকা লোকেদের উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই নৌকার ডেকের নীচেও লোক রয়েছে। স্থানটি পানি এবং পেট্রলের মিশ্রণে ভরা ছিল। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় থাকা ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও তাদের মধ্যে দুইজন জীবিত ছিলেন।”

রেসকিউশিপের তথ্য অনুসারে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫১ জনের মধ্যে ৩০ জন বাংলাদেশি এবং বাকিরা পাকিস্তান, মিশর এবং সিরিয়ার নাগরিক। নিহতদের সবাই পুরুষ অভিবাসী। প্রাথমিকভাবে এখনও তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করা যায়নি। 

এই ঘটনার দুই ঘন্টা পর ইটালির উপকূলরক্ষীরা এসে পৌঁছায়। তারা এই দুই ব্যক্তিসহ মোট ৫১ জন উদ্ধার করে। 

অন্যদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন জানিয়েছে, একই দিনে অন্য একটি পৃথক ঘটনায়, ৬০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে ২৬ জন শিশু রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) অনুসারে, গত বছর প্রায় তিন হাজার তিন হাজার ১৫০ জন অভিবাসী ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হয়েছে । ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল দুই হাজার ৪১১ জন। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

 

এবি 

×