ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আজ সাধারণ পরিষদে ভোট

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মরক্কোর রাবাত নগরীতে মিছিলে এক নারী বিজয় সূচক ভি-চিহ্ন দেখাচ্ছেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখ-ে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রবিবার কূটনীতিকরা জানিয়েছেন।
এর আগে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে গত শুক্রবার ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এরপরই সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে, টেকসই ও স্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য আনা একটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া সে সময় ভোটাভুটিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

অবশ্য চলতি ডিসেম্বর মাসেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফের আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করে অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। সেই প্রস্তাবে উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে সব বন্দিকে মুক্ত করতে হবে।

শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি পেশ করার পর সেটি গৃহীত হয় এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটের জন্য উত্থাপন করা হয়। ভোটে পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টিই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বাদ ছিল কেবল দুই স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে সরাসরি আপত্তি বা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এতে করে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

×