ছবি: সংগৃহীত।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ‘জটিলতার’ প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন জার্মানির ডাক্তাররা।
সোমবার জার্মানি জুড়ে প্রায় ১০ হাজার ডাক্তার এই কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় বন্ধ ছিল ক্লিনিক ও চিকিৎসাসেবা।
আরও পড়ুন :১০৪ বছর বয়সে ঝাঁপ দিলেন ৪১০০ মিটার ওপর থেকে
শনি ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির পরে সোমবার একদিনের কর্মবিরতির সঙ্গে যোগ হয় মঙ্গলবারের সাধারণ ছুটি। ফলে কার্যত টানা চারদিন ধরে ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসাসেবা।
বিপাকে থাকা রোগীরা বলছেন, ডাক্তাররা কৌশল অবলম্বন করে সোমবার কর্মবিরতি পালন করেছেন। রোগীদের একটি সংগঠনের দাবি, ডাক্তারদের এই কৌশলের কারণে দুর্বল ও অসুস্থরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সরকারের বিদ্যমান স্বাস্থ্যনীতি জীবনযাত্রার বাড়তি ব্যয় মেটানোয় সহায়ক নয়, দাবি ডাক্তারদের। তারা বলছেন, একইসাথে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার চাপ তাদের জন্য সার্বিক পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তুলছে।
ডক্টর্স ইউনিয়ন (ফিরশোবুন্ড) চেয়ারম্যান ড্রিক হাইনরিশ বলেন, সরকারের নানা বিধিনিষেধে ডাক্তারদের কার্যালয় চাপে রয়েছে। বিশেষ করে বিল প্রদান সীমিতকরণের ফলে ডাক্তারদের সার্ভিসকে আরেও সীমিত করতে হবে।
তিনি জানান, রোগীদের সেবা দেওয়ার পরিবর্তে ডাক্তাদেরকে বছরে ৬০ দিন ‘পেপারওয়ার্ক’ করতে হয়।
বিমা কোম্পানিগুলো কত টাকা পর্যন্ত প্রদান করবে সে বিষয়টি সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়ার নীতিরও সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে, একাধিক রোগী দেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এই নীতি।
এদিকে দেশজুড়ে ১০ হাজার ডাক্তারের একসাথে কর্মবিরতিতে যাওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই পেশাজীবীরা। বিশেষ করে যে পদ্ধতিতে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন তার সমালোচনা করেছেন জার্মান ফাউন্ডেশন ফর পেশেন্ট রাইটসের চেয়ারম্যান অইগেন ব্রিশ।
তিনি বলেন, বেতনভাতা বাড়ানোর দাবিতে যেকোনো পেশাজীবীই আন্দোলন করতে পারেন। কিন্তু ডাক্তারদের অফিস এভাবে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা।
এদিকে বেতন বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লাউটারবাখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, যে ডাক্তারেরা নিয়মিত রোগী দেখেন তাদের বাৎসরিক আয় গড়ে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।
খবর ডয়চে ভেলে’র।
টিএস