
ভারতের জাতীয় পতাকা।
ভারতে আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মুর পক্ষ থেকে ডে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোচনা।
এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাশের জন্যই আগামী ১৮-২২ ডিসেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেও জল্পনা দানা বেঁধেছে। যদিও সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই হাই প্রোফাইল পত্রের প্রতিলিপি। এই ঘটনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে লিখেছেন, খবর তাহলে সত্যি। ৯ সেপ্টেম্বর আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে। সংবিধানের ২নং অনুচ্ছেদে সাফ বলা রয়েছে, ‘ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া, রাজ্যের সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হবে’। কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্রের উপরই আঘাত হানা হচ্ছে।
দেশের নাম বদলের জল্পনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, দেশের নামও কি বদলে যাবে এবার! গোটা বিশ্ব ভারতকে চেনে ‘ইন্ডিয়া’ নামে। কিন্তু রাষ্ট্রপ্রতির আমন্ত্রণপত্রে তা বদলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথায়, ‘ভারতীয় প্রজাতন্ত্র- আমাদের সভ্যতা দৃঢ় পদক্ষেপে অমৃতকালের দিকে এগোচ্ছে দেখে আনন্দ হচ্ছে, গর্ববোধ করছি।’
এর আগে, নিরঞ্জন ভটওয়াল নামে মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বাতিল করে কেবলমাত্র ‘ভারত’ নামটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়, সুপ্রিম কোর্টের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং বিচারপতি ইউইউ ললিত সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
সূত্র: আনন্দবাজারপত্রিকা, সংবাদ প্রতিদিন।
এম হাসান